পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত দেখিলে বিরক্ত হইতেন, এবং শক্ররও সেরূপ প্রাণনাশ যাহাতে না হয়, সে জল্প যথেষ্ট যত্ন করিতেন। শিবাজী আদেশ করিলেন,—আমাদের কার্য্য সিদ্ধ হইয়াছে, ভীরু লায়েস্তা খাঁ। আর আমাদের সহিত যুদ্ধ করিবে না, এক্ষণে দ্রুতবেগে লিংহগড়াভিমুখে চল । অন্ধকার রজনীতে শিবজী অনায়াসে পুনা হইতে বহির্গত হইয়া সিংহগড়ের দিকে ধাবমান হইলেন । প্রাম দুই ক্রোশ আসিয়া মশাল জালিবার আদেশ দিলেন। বহুসংখ্যক মশাল জলিল। পুনা হইতে সায়েস্তা খা দেখিতে পাইলেণ, মহারাষ্ট্র সেনা নিরাপদে সিংহগড়ে উঠিল । পরদিন প্রাতে ক্রুদ্ধ মোগলগণ সিংহগড় আক্রমণ করিতে আসিল, কিন্তু গড়ের কামানের গেtলায় ছিন্ন ভিন্ন হইয়া পলায়ণ করিল। কৰ্ত্তাজী গুজর ও র্তাহার অধীনস্থ মহারাষ্ট্রীয় অশ্বারোহিগণ বহুদূর পর্য্যস্ত পশ্চাদ্ধাবন করিয়া গেল । অল্প বিপদে সাহণী যোদ্ধার আরও যুদ্ধপিপাসা বৃদ্ধি হয়, কিন্তু সায়েস্তা প। সেরূপ যোদ্ধা ছিলেন ন! । তিনি আরংজীবকে একখানি পত্র লিখিলেন, তাহাতে নিজ সৈন্তের যথেষ্ট নিন্দ করিলেন ও যশোবন্ত অর্থে বশীভূত হইয়া শিবল্পীর পক্ষাচরণ করিতেছে, এইরূপ জানাইলেন । অfরংজীব দুই জনকেই অকৰ্ম্মণ্য বিবেচনা করিয়া ৬াকাইয়া পাঠাইলেন, এবং নিজ পুত্র মুলতান মোয়াজীমকে দক্ষিণে পাঠাইলেন, পরে তাহার সহায়তা করিবার জন্ত যশোবস্তুকে পুণৰ্ব্বার পাঠাইলেন। ইছার পর এক বৎসরের মধ্যে বিশেল কোন যুদ্ধকার্য হইল না। ১৬৬৪ খৃঃ অব্দের প্রারম্ভেই শিৰঞ্জীর পিতা শাহজীর কাল হওয়ায় শিবজ সিংহগড়েই শ্রাদ্ধাদি সমাপন করিয়া পরে রায়গড়ে যাইয়া রাজা