পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स्तूि कालज-भिक्षांवहां ছিলেন। নিত্য নুতন, নূতন পরিচ্ছদ এবং নুতন প্রকার গন্ধদ্রব্য না হইলে তঁহার পরিতৃপ্তি হইত না । অতি অকিঞ্চিৎকর কাৰ্য্যেও তিনি, সময়ে সময়ে, প্রয়োজনীতিরিক্ত অর্থব্যয় করিতেন । তঁহার একদিনের ব্যবহার হইতে পাঠক। তঁহার প্রকৃতি অনুমান করিতে পরিবেন । একদিন সাহেব-ক্ষৌরকারের দোকান হইতে চুল ছাটিয়া আসিয়া মধুসুদন সহাধ্যায়ীদিগকে বলিলেন ; “দেখ আমার চুল ছাটা কেমন সুন্দর হইয়াছে, আমি ইহার জন্য এক মোহর দিয়াছি।” । কিন্তু এই বিলাসপ্রিয়তা অপেক্ষা গুরুতর আরও কোন কোন দোষ, এই সময়ে, তাহাকে স্পর্শ করিয়াছিল। কুসঙ্গে পতিত হইয়া, এবং কুদৃষ্টান্তের অনুকরণ করিয়া, তিনি, ছাত্রাবস্থাতেই, মদ্যপানে আসক্ত হইয়াছিলেন । ডিরোজিয়োর ছাত্ৰগণের মধ্যে পান-দোষ ও হিন্দুধৰ্ম্ম-নিষিদ্ধ দ্রব্যভক্ষণে অনুরাগ কিরূপ প্ৰবল ছিল, আমরা পুর্বেই তাহার আলোচনা করিয়াছি। মধুসূদনের সময়ে যদিও তাহা কিয়ৎপরিমাণে হ্রাস পাইয়াছিল, তথাপি কলেজের অনেক ছাত্র, তখনও, মদ্যপান সভ্যতার লক্ষণ বলিয়া মনে করিতেন। মধুসুদন ইহাদিগের মধ্যে একজন ছিলেন। র্তাহার সমকালবৰ্ত্তী ও সহাধ্যায়ী, বাবু রাজনারায়ণ বসু, ঊর্তাহার আত্মজীবন-চরিতে, এই সময়কার প্রসঙ্গে, লিখিয়াছেন ; “তখন হিন্দু কলেজের ছাত্রেরা মনে করিতেন যে, মদ্যপান সভ্যতার চিকু, উহাতে দোষ নাই । আমি এবং আমার কতকগুলি সহচর, একত্র হইয়া, গোলদিৰীতে বসিয়া মদ খাইতাম । এখন যেখানে সেনেট হাউস হইয়াছে, সেখানে ; কতকগুলি শীক-কাবাবের দোকান ছিল। আমরা গোলদিবীর রেল টপকাইয়া, ( ফটক দিয়া বাহির হইবার বিলম্ব সহিত না ) ঐ কাবাব কিনিয়া আহার করিতাম। আমি ও আমার সহচরেরা এইরূপ মাংস ও জলস্পর্শশুন্য ব্ৰাণ্ডি খাওয়া সভ্যতা ও সমাজ সংস্কারের পরাকাষ্ঠ প্ৰদৰ্শক কাৰ্য্য বলিয়া মনে করিতাম” । সমা Pitts vs (WTM