পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSO छदम-5ङि । নিঃসম্বল অবস্থা, তাহার উপর মান্দ্ৰাজে পহুছিবার পরই তিনি বসন্তরোগে আক্রান্ত হইয়াছিলেন ; সুতরাং কিয়ৎকাল তাহাকে দারুণ দুরবস্থায় জীবনযাপন করিতে হইয়াছিল । পিতার সহিত মনোমালিন্য আরান্ধ হইবার সঙ্গেই তাহাব অর্থাভাব উপস্থিত হইয়াছিল। কিন্তু যত দিন তিনি কলিকাতায় ছিলেন, তাহার স্নেহময়ী জননী, স্বামীর অজ্ঞাতসারে, তাহাকে মধ্যে মধ্যে অর্থ-সাহায্য করতেন । সুতরাং দারিদ্র্যা-জনিত ক্লেশ যে কি মৰ্ম্মভেদী, মধুসুদনকে এত দিন তাঙ্গা সম্পূর্ণরূপ অনুভব করিতে হয় নাই । এইবার হইতে তিনি প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে তাহার তিক্ত আস্বাদ প্ৰাপ্ত হইলেন । নিরুপায় হইয়া তাহাকে মান্দ্রাজের দেশীয় খ্ৰীষ্টান ও ফিরিঙ্গী সম্প্রদায়ের সাহায্যপ্রার্থী হইতে হইল। তাহারা মধুসুদনকে পরিত্যাগ করিলেন না । তাহাদিগের অনুগ্ৰহে তিনি পিতৃমাতৃহীন, ফিরিঙ্গী বালকদিগের জন্য প্ৰতিষ্ঠিত একটী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা কাৰ্য্য প্ৰাপ্ত হইলেন। তঁহার অর্থাভাব ক্লেশ কথঞ্চিত দূৰীভূত হইল ; এবং তাহার নিজের ভাষায় বলিতে হইলে, “প্রবল ঝটিকা অতিক্ৰম করিয়া কুল প্ৰাপ্ত হইলে নাবিক যেমন শান্তিলাভ করে,” তিনিও তেমনই শান্তিলাভ করিলেন । পৃথিবীর অনেক আপাত-প্ৰতীয়মান অমঙ্গলের ন্যায় মধুসূদনের মান্দ্ৰাজ প্ৰবাস কালীন দুরবস্থা, এক বিষয়ে, তাহার। ভবিষ্যৎ কল্যাণের কারণ হইল । প্ৰকৃতি তাতার অভ স্তরে যে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নিহিত করিয়া রাখিয়াছিলেন, নিরাশার ও দরিদ্রতার সংঘর্ষে এইবার তাহ উদগত হইবার সুযোগ লাভ করিল । উপায়ান্তরের অভাবে তিনি, অর্থাগমের জন্য, সাহিত্যের উপর নির্ভর করিতে বাধ্য হটলেন। এতদিন তিনি, অনুশীলনার্থ এবং অবকাশ কালের বিনোদনের জন্য, সাহিত্যের সেবা করিয়া আসিতেছিলেন ; কিন্তু এখন তঁহাকে প্ৰাণধারণার্থ সাহিত্যের আশ্রয়ী-গ্ৰহণ आदिएठा-cमबा ।