পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांत्रांढ्या गांड्रिडाव्र छत्रश्ङ् । ছিলেন । স্বদেশীয় ভাষার উন্নতি সাধন যে স্বদেশবৎসল ব্যক্তি মাত্রেরই একান্ত কৰ্ত্তব্য, এবং বিদেশীয় মহাকবিগণের রচনা অমৃত তুল্য হইলেও তাহা যে হৃদয়ের তৃষ্ণ পরিতৃপ্ত করিতে পারে না, রাজনারায়ণ বাবু তাহার বক্তৃতায় তাহা অতি সুন্দরীরূপে ব্যক্তি করিয়াছিলেন । * বাৰু অক্ষয়কুমার দত্ত যে সুবীজ বপন কবিয়াছিলেন, মাতৃভাষাবৎসল অন্যান্য ব্যক্তিগণের যত্নে তাহ, এইরূপে অম্বুরিত হইয়া, দিন দিন পরিবৰ্দ্ধিত হইতেছিল। ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত আট বৎসরের মধ্যে হেয়ার স্মরণার্থ সভায় পাঁচ বার বাঙ্গালা ভাষাতেই বক্তৃত হইয়াছিল। ইহার মধ্যে দুইটী বক্তৃতা বিশেষরূপ উল্লেখযোগ্য। প্রথমটীতে, রেভারেণ্ড কৃষ্ণমোহনবন্দ্যোপাধ্যায় “কি উপায় অবলম্বন করিলে বাঙ্গালা ভাষার উন্নতি হইতে পারে”। তৎসম্বন্ধে, এবং দ্বিতীযটীতে, মহাভারতের সুপ্ৰতিষ্ঠ অনুবাদক, বাবু কালীপ্ৰসন্ন সিংহ “বাঙ্গালী ভাষার , 'অনুশীলন” বিষয়ে আলোচনা করিয়াছিলেন । বাঙ্গালা ভাষার অনুশীলন ইহাঁর পূৰ্ব্বে ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতদিগের এবং ইংরাজী ভাষায় অনভিজ্ঞ ব্যক্তিগণেন্দই কাৰ্য্য বলিয়া বিবেচিত হইয়া আসিতেছিল। কিন্তু এখন হইতে

  • বাঙ্গালা ভাষার অনুরাগী পাঠককে রাজনারায়ণ বাবুর ‘বিবিধ প্রবন্ধে” সন্নিবিষ্ট এই বক্ততা পাঠ কবিতে অনুরোধ করি। তাহার কয়েকটী পংক্তি নিম্নে উদ্ধত হইল :-

“যথাৰ্থ বলিতে কি হোমির, প্লেটো ও সফোক্লিস রচিত চারুতম, নিকপম কাব্যরস পানের প্রভুত সুখ সম্ভোগ করি, কিম্ব চরিত্র বর্ণনা নৈপুণোর পরাকাষ্ঠী প্ৰদৰ্শক সেক্সপিয়ারের অমৃত-ধৰ্ম্ম প্রাপ্ত নাটক সকল অধ্যয়ন করিয়া অত্যন্ত উল্লাসিত হই, কিম্বা অদ্ভুত সুকল্পনাশক্তিসম্পন্ন গেটে ও সিলারের কাব্য পাঠ করিয়া আশ্চৰ্য্যাৰ্ণবে মগ্ন হই, তথাপি এক আশা অসম্পূর্ণ থাকে, এক তৃষ্ণা আনিবৃত্ত থাকে ; সেই আশা স্বদেশকে জগজন-পূজা, বিশাল খাতি গ্ৰন্থকারদিগের যশঃ সৌরব দ্বারা প্ৰফুল্প দেখিবার আশা ; সে তৃষ্ণ স্বদেশীয় সমীচীন কাবাক্ষরিত অমৃতধারা পান করিবার তৃষ্ণা । হা জগদীশ্বর । আমাদিগের সেই আশা কবে পূর্ণ করিবে, সেই তৃষ্ণা কবে নিবৃত্ত করিবে ? এমন দিন কখন আগমন করিবে, যখন আমাদিগের আত্ম ভাষায় রচিত কাব্যের যশঃ সৌরভে আকৃষ্ট হইয়া অন্যদেশীয় লোকে cम ऊष ञान्न कद्भि८ ?°