পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্যজীবন । Vs) সমাজে প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিতেছেন, ইহাদিগের চারি ভ্রাতার দৃষ্টান্ত হইতেই তাহা তাহাদিগের পরিবারে প্রবেশ লাভ করিয়াছিল । কিন্তু এই সকল সদগুণের সঙ্গে তঁহাদিগের চরিত্রে দুই একটা গুরুতর দোষও বৰ্ত্তমান ছিল। তাহাদিগের মধ্যে কাহারও কাহারও, বিশেষতঃ, মধু সুন্দনের পিতা রাজনারায়ণেব, মিতবায়িতা ও ইন্দ্ৰিয়-সংযম সম্বন্ধে দৃষ্টি छिल न । মধুসূদনের পিতামহ রামনিধি দত্তের সাংসাবিক অবস্থা ভাল ছিল না। মধুসূদনের জ্যেষ্ঠ পিতৃব্য রাধামোহন দত্ত হইতেই তাহাদিগের বংশের সৌভাগ্যের সূত্ৰপাত হয়। রাধামোহন তৎকাল-সমাদৃত পারস্য ভাষায্য বিশেষ বুৎপন্ন ছিলেন ; কিন্তু প্ৰথমাবস্থায়, অর্থে পাৰ্জন সম্বন্ধে যত্ন প্ৰকাশ না করিয়া, পল্লীগ্রামস্ত, পরিশ্রম-কাতর অনেক যুবকেল ন্যায়, আলস্তে ও ঔদাস্তে দিনপাত করিতেন। বৃদ্ধ রামনিধি, একদিন, এই জন্য, পুত্ৰকে কঠোর তিরস্কার করিলে রাধামোহন অভিমানে গৃহ ত্যাগ কবেন, এবং “উদরান্নের সংস্থান করিতে না পারিলে আর গৃহে ফিরিব না,” এইরূপ প্ৰতিজ্ঞ করিয়া যশোহরে গমন করেন । তিনি যখন, যশোহরে কোন আত্মীয়ের আলয়ে অবস্থানপূর্বক, বিষয় কৰ্ম্মের চেষ্টা করিতেছিলেন, সেই সময়, একদিন, জিলার মাজিষ্ট্রেট সাহেবের নিকট পারস্য ভাষায় লিখিত একখানি রিপোর্ট আসে । যে সকল ব্যক্তি, সে সময়ে, সাহেবের নিকট উপস্থিত ছিলেন, তাহাদিগের মধ্যে কেহই তাত পাঠ করিতে পারেন। নাই । যুবক রাধামোহন, ঘটনাক্রমে, সে সময়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি, রিপোট খানি চাহিয়া লইয়া, সুন্দর রূপ পাঠ করাতে সাহেব, সন্তুষ্ট হইয়া, তাহাকে আপনার অধীনে একটী কৰ্ম্ম দিলেন । সেই হইতে দত্তংশের সৌভাগ্যের সুত্রপাত হইল। যুবক রাধামোহন, তীক্ষবুদ্ধিগুণে, অল্প দিনের মধ্যে, প্রভুর প্ৰিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইলেন এবং ক্রমে, २= द् ि।।