পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐश्लम-प्रभां । RNdQ) তাহাতে প্ৰহসন বা ব্যঙ্গাত্মক গ্রন্থের আবির্ভাব হইয়া থাকে । পিউরিটানিজমের দ্বারা প্ৰপীড়িত ইংলণ্ডে “হিউডিব্রাসের’ (Hudibras) এবং নাইট এরস্ট্রির প্রাদুর্ভাবে অস্থির স্পেনে ডনকুইকজোটের আবির্ভাব ইহার উদাহরণ। রাবেলার ( Rabelais; ) গ্ৰন্থ ভ্ৰষ্টাচারী ক্যাথলিক সন্ন্যাসিগণের ও উদ্ধৃঙ্খল আভিজাত্যদিগের লাঞ্ছনার জন্যই রচিত হইয়াছিল । কোন চিন্তাশীল ব্যক্তি বলিয়াছেন, গ্ৰন্থকারগণ সমাজের শিক্ষক ; যখন সমাজে ধৰ্ম্ম ও সদাচার বিরাজ করে, তখন তাহারা শান্ত মূৰ্ত্তিতে অবস্থান করেন। কিন্তু যখন দুস্ক্রিয়ার ও কদাচারের প্রাবল্যে সমাজ উপদ্রুত হয়, তখন তাহাদিগকে, অপরাধীদিগের দণ্ডের জন্ত, সুতীক্ষু কাশা গ্ৰহণ করিতে হয় ! এই হইতেই সাহিত্যে প্রহসনের ও ব্যঙ্গকাব্যের সৃষ্টি । রাজপুত কবি চাদ যথার্থই বলিয়াছেন, “শক্রর করবালাপেক্ষা কবির বাক্যশেল সহস্ৰগুণ তীক্ষু।” স্বদেশ-নিৰ্বাসিত, কুটীরবাসী ভণ্টেয়ারের মুখের এক একটী কথায় যুরোপের অনেক মুকুটধারীরও অন্তৰ্দাহ হইত। বাস্তবিক ও সংসারে দেখিতে পাওয়া যায় যে, কবির মৰ্ম্মৰ্ভেদী বাক্যবাণের ভয়ে, শত শত ক্ষমতাবান পাষণ্ড আপনাদিগের দুষ্পপ্রবৃত্তি সংযত বা গোপনে চরিতার্থ করিতে বাধ্য হইতেছে । কিন্তু যেমন প্ৰকৃত বলবান পুরুষগণই মহাস্ত্ৰ ব্যবহার করিতে সমর্থ হন, সেইরূপ কেবল প্ৰতিভাবান পুৰুষদিগের প্রযুক্ত ব্যঙ্গাস্ত্ৰই কাৰ্য্যকারী হইয়া থাকে । দুর্বল ব্যক্তি দ্বারা প্ৰযুক্ত হইলে তাহা ত্বক ভেদ করে মাত্ৰ, মৰ্ম্ম-সম্পর্শ করিতে পারে না । মধুসূদনের কৈশোর ও যৌবন সমাজের যে অবস্থায় অতিবাহিত হইয়াছিল, আমরা দ্বিতীয় অধ্যায়ে তাহার আলোচনা করিয়াছি। তাহাতে শান্তি ছিল না। পাশ্চাত্য সমাজের দৃষ্টান্তে ও পাশ্চাত্য শিক্ষার ফলে তখন কলিকাতা-সমাজ উপদ্রুত ও অশান্তিগ্ৰস্ত হইয়া পড়িয়াছিল । তখন কলিকাতা-সমাজে শিক্ষিত-নামধারী এমন এক শ্রেণীর লোকের