পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

typo জীবন-চরিত । “কেমনে পশিবে লঙ্কাপুরে আজি তুমি ? অলঙ্ঘ্য-সাগরসম রাঘবীয় চমু বেড়িছে তাহারে। লক্ষ লক্ষ রক্ষা-অরি ফিরিছে চৌদিকে ማ፬ሣffቑ, WS°iifቕ, ሻéኛg ማፃ] ! তেজস্বিনী প্ৰমীলা বাসস্তীর কথায় বলিলেন ; “কি কহিলি বাসস্তি ? পৰ্ব্বত-গৃহ ছাড়ি বাহিরায় যবে নদী সিন্ধুর উদ্দেশে, কার হেন সাধা যে সে রোধে তার গতি ? দানব-নন্দিনী আমি, রক্ষকুল-বধূ, রাবণ শ্বশুর মম, মেঘনাদ স্বামা, यांत्रिं कि एब्रांझे, मर्थि, ख्रिश्थौ ब्रांषप्त ? পশিব লঙ্কায় আজি নিজ ভুজবলে ; দেখিব কেমন মোরে নিবারে নৃমণি।” প্ৰমীলার যে প্ৰমোদ-উদ্যান বেণু-বীণা-ঝঙ্কারে মুখরিত থাকিত, মুহূৰ্ত্ত মধ্যে তাহা সমরকোলাহলে পূর্ণ হইল। প্ৰমীলার সঙ্গিনী শ্রীলঙ্করণসজ্জা ও লম্বা দৈত্যবালাগণ, বীরভূষণে সজ্জিতা श्शैशे, প্ৰবেশ । আশ্বারোহণ করিলেন । প্ৰমীলারও বরবপুর কঠিন বীরাভারণে সুশোভিত হইল। পৃষ্ঠে বাণপুর্ণ তৃণ, উরুদ্দেশে খরশাণ আসি, এবং করে সুদীর্ঘ শূল ধারণ করিয়া প্ৰমীলা অশ্বপুষ্ঠে আরোহণ করিলেন। অকস্মাৎ শত বজ্ৰাঘাতের ন্যায় ধনুষ্টঙ্কার-শব্দে ও শঙ্খধ্বনিতে লঙ্কার পশ্চিম দ্বার বিকম্পিত হইল। অন্যের কথা দূরে থাকুক, হনুমানেরও বীরহাদয়, প্ৰমীলার সেই বীরবেশ দর্শন করিয়া, স্তম্ভিত হইল। হনুমান, উগ্রভাব পরিত্যাগ পূর্বক, প্ৰমীলার দূতীকে সঙ্গে লইয়া, রামচন্দ্রের নিকট গমন করিলেন। দূতী, রামচন্দ্রের নিকট, হয় যুদ্ধ না হয় লঙ্কাপুরে প্রবেশের পথ প্রার্থনা করিল। রঘুৱাজ-বংশধরের পক্ষে পতিপদ-দর্শনোৎ