পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Core r Oe অভিষিক্ত হইয়াছেন, আশামুগ্ধ লঙ্কাবাসিগণ যে আনন্দসলিলে মগ্ন হইৰে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? কবি তাহার স্বাভাবিক নৈপুণ্যের সহিত উৎসবমগ্ন লঙ্কাপুরীর অতি মনোজ্ঞ চিত্ৰ প্ৰদান করিয়াছেন। সেই আনন্দময়ী পুরীর মধ্যে কেবল একটিমাত্ৰ উপবনে উৎসব ছিল না । শোকের ঘনান্ধকার, রজনীর তিমিরকে দ্বিগুণিত করিয়া, যেন তাহ আবৃত করিয়া রাখিয়াছিল। সেখানে সকলই নিস্তব্ধ, পক্ষীর কণ্ঠে পৰ্যন্ত স্বরু ছিল না। ঘননিবিড় পত্রিপুঞ্জ ভেদ করিয়া, চন্দ্ৰকিরণ তথায় প্ৰবেশ করিতে পারিত না । কিন্তু অন্ধকারময় অরণ্যের অভ্যন্তরে যেমন একটি মাত্র কুসুম, বিকশিত হইয়া, বনভূমিকে সুশোভিত করে, তেমনই সেই আলোকশূন্য উপবনের মধ্যে এক মিগ্ধোজ্জল দেবীপ্রতিমা, চতুর্দিক আলোকিত করিয়া, তথায় বিরাজিত ছিল । রাশি রাশি কুসুম তাহার চতুর্দিকে 3ন্তচু্যুত হইয়া পতিত হইতেছিল ; সমীরণ, তাহার দুঃখে দুঃখিত হইয়া, এক একবার উচ্ছসিত হইতেছিল ; এবং দুৱস্থিতা প্রবাহিণী, তাহার দুঃখকাহিনী বীচীরবে গান করিয়া, সাগরাভিমুখে ধাবিত হইতেছিল। দেবীর মুখ বিমলিন ; অশ্রদ্ধারা, নীরবে প্ৰবাহিত হইয়া, তাহার কপোলদ্বয় অভিষিক্ত করিতেছিল; কিন্তু কি এক অপূৰ্ব্ব জ্যোতি, সেই মলিন মুখ হইতে বিনিস্থত হইয়া, কাননভূমি সমুজ্জল করিয়া রাখিয়াছিল, डीश् यJख कड़ियों नश । এই বনাধিষ্ঠাত্রী দেবী কে, তাহা কি আর বলিবার আবশ্যক করে ? দুরন্তু চেড়ীগণ, অশোকবনস্থিত সীতাদেবীকে পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক, মেঘনাদের অভিষেক-উৎসব দর্শনের জন্য, অন্যত্র গমন করিয়াছিল। কিন্তু সীতাদেবী একাকিনী ছিলেন না । শক্রপূর্ণ লঙ্কাপুরীর অভ্যন্তরেও একজন তাহার সমদুঃখভাগিনী ছিলেন । বিভীষণ-পত্নী সরমা, তাহাকে সাত্মনাদান করিবার জন্য, মধ্যে মধ্যে অশোকবনে আগমন করিতেন, তাহার ললাটে সধবা-লক্ষণ সিন্দুর-বিন্দু প্ৰদান করিতেন, এবং তঁাহার মুখে