পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

99y औदन-ब्रेिड । সন্দেহের যোগ্য, না মূৰ্ত্তিমতী পবিত্রতার মুখ হইতে এরূপ হলাহল উদগীর্ণ হইবার উপযুক্ত ? সেরূপ অবস্থায় সীতাদেবী কর্তৃক লক্ষ্মণকে কঠোর তিরস্কার করা অস্বাভাবিক নহে ; কিন্তু বহুদিনের বিশ্বাস, এক দিনের ব্যবহারে, অকস্মাৎ, এরূপ সন্দেহে পরিবৰ্ত্তিত হওয়া স্বাভাবিক নয় । যাহারা বলেন যে, দেবকাৰ্য্য সম্পাদনের জন্য, দুষ্ট সরস্বতী কর্তৃক প্ৰণোদিত হইয়াই, সীতাদেবী লক্ষ্মণের প্রতি এরূপ ভাষা ব্যবহার করিয়াছিলেন, তাহাদিগের সম্বন্ধে আমাদিগের কোন বক্তব্য নাই । মেঘনাদবধের রামচন্দ্র ও সীতাদেবীকে মানব, মানবী ভাবে দর্শন করিয়া, DDBB BDDB DBDD DBDD DD DBBDBDS BDBDBB BDD BBBDBDDu S মধুসুদন সীতাদেবীর অনুযোগ এইরূপ লিখিয়াছেন ;- “নুমিত্রা শাশুড়ী মোর বড় দয়াবতী ; কে বলে ধরিয়াছিল। গর্ভে তিনি তোরে, নিষ্ঠুর। পাষাণ দিয়া গড়িলা বিধাতা হিয়া তোর । ঘোর বনে নির্দয় বাঘিনী জন্ম দিয়া পালে তোরে, বুঝিানু দুৰ্ম্মতি ; রে ভীরু, রে বীরকুলগ্ননি। যাব আমি, দেখিব করুণ স্বরে কে স্মরে আমায়ে ।” এই তিরস্কার, কঠোর হইলেও, সীতাদেবীর উচ্চ প্ৰকৃতির অযোগ্য নহে । কিন্তু সীতাচরিত্র সম্বন্ধে কেবল সুরুচির ও শিষ্টজনোচিত ভাবের জন্যই মধুৰ সুন্দনের প্রশংসা নয়। শাণিযন্ত্রনির্মুক্ত মণির ন্যায়-সীতা চরিত্র তাহার হস্তে আরও যেন একটু উজ্জ্বল হইয়াছে। মেঘনাদবধে আমরা সীতাদেবীকে দুইবার মাত্ৰ দেখিতে পাই। প্রথমবার মেঘনাদের অভিষেকের এবং দ্বিতীয়বার মেঘনাদের মৃত্যুর পর । প্ৰথমবারের অপেক্ষা দ্বিতীয়বারের চিত্র আরও উজ্জল ৷ প্ৰথমবার মধুসূদনের সীতাচরিত্রের বিশেষত্ব ।