পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ-কাব্য । ©ከሆዓ ” ন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধ তাহাদু নিকট যেন শিশুর ক্রীড়ামাত্র ; তিনি প্রমী লাকে বলিয়াছিলেন ;-

    • ** * ७qनि अग्नि, निर्नेि ब्रांचtत्र ब्राणी, व्लक्षां-श्रुंडिनि ।।”

যত দিন নিরাশার অথবা দুঃখের অভিজ্ঞতা না জন্মে, ততদিন মনুয্যের হৃদয়ে চিন্তার বা ভীতির সঞ্চার হয় না । মেঘনাদের জীবনে নিরাশার বা দুঃখের অভিজ্ঞতা ছিল না, তাই তিনি সম্পূর্ণরূপ ভীতিশূন্য, এবং আত্মশক্তিতে অটল প্ৰত্যয়শীল। বীরাগ্রগণ্য, ত্ৰিভুবনবিজয়ী পিতা, স্নেহপ্রবণহৃদয়া, সম্রাজ্ঞী জননী, পতিপ্ৰাণা, বীৰ্য্যবতী পত্নী, অতুল ঐশ্বৰ্যময় লঙ্কার যৌবরাজ্য, এবং সৰ্ব্বোপরি ইষ্টদেবের প্রসাদ লাভ করিয়া মেঘনাদ, নবীন শালতারুর ন্যায়, সগৰ্ব্বে, মস্তক উন্নত রাখিয়াছিলেন। রামচন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধ, বা ত্যারূপে উখিত হইয়া, তাহাকে ভূমিসাৎ করিয়াছিল, কিন্তু বিনত করিতে পাবে নাই । রাক্ষসরাজও বীর এবং মেঘনাদও বীর ; অবস্থাভেদেই। উভয়ের মধ্যে তাদৃশ পার্থক্য উৎপন্ন হইয়াছিল। কিন্তু বীরোচিত ভীতিশূন্যতারই জন্য মেঘনাদের প্রশংসা নয় ; র্তাহার হৃদয় একদিকে যেমন পাষাণবৎ কঠিন, অপর দিকে তেমনই কুসুমাবৎ কোমল । তিনি স্বদেশবৎসল, পিতৃমাতৃভক্ত, অনুজগণের প্রতি স্নেহবান, এমন কি আততায়ী শক্ররও প্রতি শিষ্টাচারপরায়ণ। লক্ষ্মণ, র্তাহাকে বধ করিবার জন্য, অসি উদ্যত করিলে তিনি বলিয়াছিলেন ;- ' d 率 আতিথেয়-সেবা তিষ্ঠি, লহ, শূরশ্ৰেষ্ঠ, প্রথমে এ ধামে ; রক্ষরিপু তুমি, তবু অতিথি হে এবে।” মেঘনাদের এই নিৰ্ভীকতা ও মহাপ্ৰাণতা, ষষ্ঠ সর্গে অতি সুন্দর রূপ প্ৰকা শিত হইয়াছে। যজ্ঞাগারস্থিত তপোনিষ্ঠ মেঘনাদকে দেখিলে আদর্শ ক্ষত্ৰিয়বীর বলিয়া বোধ হয়। মধুসুদন ট্রয় রাজকুমার হেক্টরকে মেঘনাদের আদর্শ রূপে গ্ৰহণ করিয়াছিলেন বলিয়াই তাহার চরিত্র এরূপ উন্নত হইয়াছে।