পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ-কাব্য । VAURSA) নিঃশব্দে উন্মুক্ত হইল। কবি তাহার স্বাভাবিক নৈপুণ্যের সহিত প্রভাতকালীন লঙ্কার রাজপথের দৃশ্য, নাগরিকগণের কথোপকথন, এবং মেঘনাদের যজ্ঞশালার শোভা বৰ্ণনা করিয়াছেন। লক্ষ্মণ ও বিভীষণ মায়াদেবীর অনুগ্রহে যজ্ঞাগারে প্রবেশ করিলে ধ্যাননিরত মেঘনাদ, র্তাহাদিগের পদশব্দে চক্ষু উন্মীলিত করিয়া, ইষ্টদেব ভ্ৰমে লক্ষ্মণের চরণে প্ৰণাম করিলেন। লক্ষ্মণ, আত্মপরিচয প্ৰদানপূর্বক, যুদ্ধ প্রার্থনা করিলেন ; কিন্তু বিস্মিত মেঘনাদ কিছুতেই তাঁহাকে মনুষ্য বলিয়া বিশ্বাস করিতে পারিলেন না। তঁহারই বা অপরাধ কি ? লঙ্কাব সেই অসংখ্য যোদ্ধপুরুষ-পরিবৃত দুর্লঙ্ঘ্য প্রাচীর অতিক্ৰম করিয়া যজ্ঞশালায় প্ৰবেশ করা কি মনুষ্যের সাধ্য ? মেঘনাদ, ইষ্টদেব ভ্ৰমে গৃহাগত শত্রুর পদতলে পুনর্বার পতিত হইয়া, অভিলষিত বর প্রার্থনা করিলেন । কিন্তু লক্ষ্মণ, যখন, তাহাকে আঘাত করিবার জন্য, সত্য সত্যই উলঙ্গ কৃপাণ উত্তোলন করিলেন, তখন তাহার ভ্রম দুব হইল। তিনি মুহুৰ্ত্তব্যাপী বিস্ময়ের ও দ্বেগের সহিত প্ৰহারোদ্যত শত্রুর দিকে কটাক্ষপাত করিলেন। যে ভীতিশূন্যতা মেঘনাদের চরিত্রের প্রধান লক্ষণ বলিয়া আমরা পূর্বে নির্দেশ করিয়াছি, এখানেও মেঘনাদের ব্যবহারে তাহা সম্যক্ পরিস্ফুট হইয়াছে। রামায়ণের মেঘনাদ মায়াবী বীর ; মায়াযুদ্ধেই তাহার বীরত্ব ; মায়াসীত ছেদন করিয়া তিনি রামচন্দ্রের উপর বিজয়লাভের চেষ্টা করিয়াছিলেন । কিন্তু মধুসূদনের মেঘনাদে মায়া নাই, কপটতা নাই, লক্ষ্মণকে আসি উদ্যত করিতে দেখিয়া, তিনি প্ৰকৃত ক্ষত্ৰিয় বীরের ন্যায় বলিলেন ;- যজ্ঞাগার-স্থিত মেঘনাদ । “जडा बलि ब्रांमाश्ख जूमि डोमवांछ লক্ষ্মণ, সংগ্রাম সাধ অবশ্য মিটােব মহাহিবে আমি তব। বিরত কি কভু রূণরঙ্গে ইন্দ্ৰজিত ? আতিথেয়-সেবা