কৃষ্ণকুমারী নাটক । 3 ( Nò হইয়াছেন, যিনি তাহা বুঝিতে চান, তাহাকে একবার কৃষ্ণকুমারীর শেষাঙ্ক পাঠ করিতে বলি । ইতিহাসের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া কবি কৃষ্ণকুমারীর আভ্যস্তরীণ ঘটনা সমূহ যেরূপ কৌশলে গ্রথিত করিয়াছেন, তাহা অতি সুন্দর হইয়াছে। কিরূপ সামান্য কারণে হিন্দুরাজগণ, পরস্পরের মধ্যে বিবাদে প্ৰবৃত্ত হইয়া, আপনাদিগের সর্বনাশ করিতেন এবং আধুনিক রাজপুতরাজগণের সভায় বারাঙ্গন ও বারাঙ্গনানুচরদিগের কিরূপ প্ৰাধান্য ছিল, BBB DBBDDJS SDuDYS DuDDS DBDDS OBD BDBBBSYYSS BBDDDS চরিত্র কুৎসিত বর্ণে চিত্ৰিত করিতেই গ্ৰন্থকারগণের সাধারণ প্ৰবণতা এবং তা হাতেই সমাজের মঙ্গল । কিন্তু অনেক সময় বারাঙ্গনী-চরিত্রেও এমন দুই একটি গুণ দেখিতে পাওয়া যায়, যে তাহা কুলললন।ারও পক্ষে অনুকরণীয়। সংস্কৃত সাহিত্যের বসন্তসেনার চরিত্র ইহার দৃষ্টান্ত স্থল। কৃষ্ণকুমারী নাটকের বারাঙ্গ না মন্দনিকার ও বিলাসবতীর চরিত্র মধুসুদন, সম্ভবতঃ, মৃচ্ছকটিকনাটকের মন্দনিকার ও বসন্তসেনার আদর্শে গঠিত করিয়াছিলেন। মৃচ্ছকটিক নাটকের মন্দনিকার ন্যায় কৃষ্ণকুমারীর মন্দনিকাও বুদ্ধিমতী, চতুবা, দয়াবতী, এবং সেই সঙ্গে কিয়ৎপরিমাণে ত্রুরস্বভাবা । হৃত-সৰ্ব্বস্ব ধন দাসের দুরবস্থায় মন্দনিকাব অনুকম্পাপুৰ্ণ বাঙ্গ পাঠ করিলে স্বভাব-কোমল নারীহাদয় চরিত্রদোষে কিরূপ বিকৃতভাব ধারণ করে, তাহা অনুমান করিতে পারা যায়। কৃষ্ণকুমারী নাটকের বিলাসবতীও, মৃচ্ছকটিকের বসন্তসেনার ন্যায়, প্ৰণয়াস্পদের প্রতি আন্তরিক অনুরাগিণী । যুদ্ধগামী রাজা জগৎ সিংহের সম্বন্ধে বিলাসবতীর আচরণ কুলললনার উপযুক্ত । নিজের সতীত্বনাশের জন্য হতভাগিনী বিলাসবতী যখন ধন দাসকে বলিতেছিল, “আমি যদিও দুঃখী লোকের মেয়ে, তবুও ধৰ্ম্মপথে ছিলাম, তুমিই অর্থের লোভে আমার ধৰ্ম্ম নষ্ট করালে,” तेिव्नांगडी ७ श्नान ।
