পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SV জীবন-চরিত । কবিতাটী পাঠ করিলে বুঝিতে পারা যায় যে, কিরূপ অতৃপ্তির ও অশান্তির মধ্যে মধুসূদনের জীবন অতিবাহিত হইত। শাস্তিদাতার উপর নির্ভর না। করিয়া, তিনি যে সাংসারিক সামগ্রীতে শান্তিব্য আশা করিয়াছিলেন, র্তাহাকে তাহাব উপযুক্ত ফল ভোগ করিতে হইয়াছিল। প্রেমের কুসুমহার, নিগড়ৰূপে, তাহার চরণযুগল আবদ্ধ করিয়াছিল ; মণি আহরণ করিতে যাইয়া বিষম বিষে তাহার শরীর জর্জবিত হইয়াছিল এবং কুসুম সংগ্ৰহ করিবার সময়ে মাৎসৰ্য্য-কীট বিষদশন দ্বারা তাহাকে দংশন করিয়াছিল । নিজের জীবনেব। এই বিষাদময় অভিজ্ঞতা মধুসুদন তাহার আত্মবিলাপ কবিতায় আতি মৰ্ম্মস্পর্শিনী ভাষায় ব্যক্তি করিয়াছেন । চতুৰ্দশপদী কবিতাবলীব শ্যামাপক্ষী নামক একটী কবিতায় তিনি লিখিয়াছিলেন যে, বিহগের আৰ্ত্তনাদ মনুষ্য, অনেক সময়, সঙ্গীত বলিয়া ভ্ৰম কৰে । * তাহার এই আত্মবিলাপও অনেকে কেবল সুমধুৰ কবিতা বলিয়া উপভোগ করেন ; কিন্তু র্যাহাবা কবির জীবনেব। ঘটনাবলীর সহিত পরিচিত, তাহারা বুঝিবেন যে, ইহা শ্রুতি-সুখক আিদ কবিতা মাত্র নহে ! ইহা যন্ত্রণা-নিপীড়িত কবির মৰ্ম্মান্তিক আৰ্ত্তনাদ । আত্মবিলাপ কবিতাটা নিম্নে প্ৰদত্ত হইল ;- আত্মবিলাপ । ड्यू-नक्षीं । ( S ) “আশার ছলনে ভুলি কি ফল লভিানু, হায় ! তাই ভাবি মনে ? জীবন-প্রবাহ বহি কাল-সিন্ধু পানে যায়, ফরাব কেমনে ? দিন দিন আযুহীন, হীনবল দিন দিন ;- তবু এ আশার নেশা ছুটিল না। ;-একি দায় । রোদিন নিনাদ কিরে লোকে মনে করে মধুমাখা গীতধ্বনি অজ্ঞানে বিচারি ? চতুৰ্দশপদী-কবিতাবলী-শ্যামাপক্ষী ।