পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ নরনারী সাধারণের সমান অধিকার, যার আছে ভক্তি পাবে মুক্তি, নাহি জাত-বিচার। ওগো, ব্ৰাহ্মসমাজের নারীগণ ! বল, এ বাণী শুনিয়া কি তোমাদের আনন্দ হয় নাই ? আজি ঈশ্বরকে দু’হাত তুলিয়া তোমরা ধন্যবাদ করা যে, তোমাদের জীবনের পথে অন্ধকার ছিল, তিনি তাহা দূর করিয়া তোমাদের উন্নতির পথ পরিষ্কার করিয়া দিয়াছেন। তোমরা কি বিশ্বাস কর না যে, ভগবান তোমাদের পথ পরিষ্কার করিয়াছেন ? তোমরা আশান্বিত হও, তোমরা উঠ, তোমরা উঠিবার জন্য সংগ্ৰাম কর। তোমরা উঠিলে দেশ উঠিবে, তোমরা জাগিলে দেশ জাগিবে, তোমরা বড় হলে তোমাদের সঙ্গে আমরাও বড় হব। ভারতের সমুদয় অনুন্নত জাতি এবং নারী জাতি, তোমরা শোন, তোমাদের জন্য ব্ৰাহ্মসমাজের ঐ বাণী আসিয়াছে। তাই বলিয়াছি যে, সমুদয় জাতীয় ব্যাধির ঔষধ এই গঙ্গার জলে আছে। ঈশ্বরের চরণে যে স্বাধীনতা, সেই হ’ল আসল স্বাধীনতা, সেই হ’ল যথার্থ স্বাধীনতা । সেই স্বাধীনতার পথ ব্ৰাহ্মধর্ম খুলিয়া দিতেছেন। ভগবানকে পাইবার যে উচ্চ অধিকার, জগতের কল্যাণ-সাধন করিবার যে মহা অধিকার, তার পথ ব্ৰাহ্মসমাজ করিয়া দিতেছেন। তাই বলিতেছি, সর্বপ্ৰকার छाऊँछौश्व ব্যাধির প্রতিকারের বীজ। এই ব্ৰাহ্মধর্মের মধ্যে নিহিত আছে। তবে কি এ ধর্মের জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ করব না ? তবে এ ধর্মকে রক্ষা করবার জন্য আমরা কি ভাল ক’রে চেষ্টা করব না ? যদি কেউ একটা কৌটা দিয়ে ব’লে দেয়, “দেখ, এই যে কৌটাটি দিচ্ছি, একে ভাল ক’রে, খুব সাবধান ক’রে রেখ। এতে কলেরা, বসন্ত, সকল রকম রোগের ঔষধ আছে।” এই ব’লে একটা কৌটা। যদি কেহ হাতে, দেয়, আর যদি আমরা সেটাকে হারিয়ে ফেলি, যদি আমরা গোলমালে, 8 @Sbም