পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্মসমাজের জীবনী-শক্তি চক্ষের যে জ্যোতি তাহা এক অপূর্ব বস্তু। চক্ষে চক্ষে প্রেমের জন্ম হয়, এক চক্ষু হইতে প্রেমের বিজলী অপর চক্ষুতে ছুটিয়া যায়। ইহার অনেক বর্ণনা কবিগণ করিয়াছেন। চক্ষু নীরব ভাষায় কথা কয়, চক্ষু ংবাদ দেয় ও সংবাদ আনয়ন করে। সে চক্ষুর সৌন্দৰ্য কতক্ষণ ? যতক্ষণ জীবন আছে। জীবন বিলুপ্ত হউক, পরম সুন্দর যে তাহার। আর সে শ্ৰী থাকিবে না, মানব-আননের যে ভাব স্মরণ করিয়া অন্ধ কবি মিলটন ‘মানবের স্বৰ্গীয় বদন’ বলিয়াছিলেন, তাহ আর লক্ষ্য করিতে পারা যাইবে না । জীবনের তৃতীয় লক্ষণ, যতক্ষণ জীবন ততক্ষণ কাৰ্য। হস্ত হস্তের কার্য করে, চরণ স্বীয় কাৰ্য করে, হৃৎপিণ্ড নিরন্তর ব্যস্ত থাকে, শোণিত অনবরত ছুটিতে থাকে, অন্তর-বাহিরের সকল ইন্দ্ৰিয়ই স্ব স্ব কার্যে নিযুক্ত থাকে। আবার বিধির এমনি ব্যবস্থা, কাজ লইয়া কখনও তাহাদের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হয় না । যেখানে জীবনী-শক্তি সেখানে আলস্য নাই। আলস্য মৃত্যুর সহোদর, মৃত্যু যখন আসে তখনই ইন্দ্ৰিয়१० ट्-िऊषव्न८ट्र) निशश् छ् । এই সকল সত্য ধর্মসমাজের প্রতি প্ৰয়োগ করিলে কি দেখা যায় ? দেহের পক্ষে যাহ! জীবন, ধৰ্মসমাজের পক্ষে তাহ ব্ৰহ্মশক্তি । ব্ৰহ্মশক্তি যতক্ষণ জীবন রূপে বাস করে, ততক্ষণ ধর্মসমাজের মধ্যেও Gछे द्धिदिक्ष लक्ष1 तूछे श्। প্ৰথম, সেখানে সকলের মধ্যে এক অপূর্ব যোগ ও আধ্যাত্মিক আত্মীয়তা দৃষ্ট হয়। তঁহাদের প্রাণে প্ৰাণে এতদূর মিলন থাকে যে, একের ক্লেশে অপরের ক্লেশ হয়। এই যোগের এরূপ অর্থ নয় যে, তঁহদের মধ্যে মত ও রুচি -গতি পার্থক্য আর থাকে না, কিন্তু তাহদের প্ৰকৃতিগত ও কাৰ্যগত সকল প্ৰকার পার্থক্যের মধ্যেও উদ্দেশ্যগত 8 A