“অখন কি করন যায় ক” দেখি রূপা?”
“আমি কি কমু? কারনের কি আছে অখন!”
দুঃখে অভিমানে রূপা মুখ ভার করে বসে থাকে। আজ না বললেই নয় এমন কত কথা রূপাকে বলার আছে মনে হয়েছিল নাগার, এখন আর বলার কথা সে খুজে পাচ্ছে না। নাগা উসখুসি করে, তারপর তাকিয়ে দ্যাখে কি, রূপার চোখ দিয়ে। টস টস করে জল পড়ছে।
নকুলের ফিরে আসতে অনেক দেরি ছিল, কিন্তু নাগা উঠে পালিয়ে গেল।
বাড়ী ফিরে কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ল বিছানায়। নিজের বিছানায় বসে পরেশ বিড়ি টানছিল, জিজ্ঞাসা করুল, “কই গেছিলি?”
নাগা ধীরে ধীরে বলল, “আমার ঘুম পাইছে। পরেশ।”
পরেশ তাড়াতাড়ি বলল, “য়ুম না, ঘুমা। কই কি, রূপার লাগে আমার বিয়া ঠিক হইয়া গেছে জানস? খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে নাগার সাড়া না পেয়ে পরেশ ক্ষুন্ন হয়ে বলল, “তরে আমি বন্ধু মনে করে –’।
“আমি অখন ঘুমামু পরেশ।”
পরদিন যাদববাবু বললেন, “নকুইলার লগে ফাজলামি ক্যান রে নাগা?
নাগা চুপ॥
‘কাল হইতে খাস নাই ক্যান?”
নাগা চুপ॥
“মুখ শুকনা ক্যান রে ওর?”
‘নাগা চুপ॥
তখন যাদববাবু চুপ করে খানিকক্ষণ নাগার মুখেৰ দিকে চেয়ে রইলেন। তারপর মৃদুস্বরে বললেন, “কি হইছে রে?”
“কিছু না কর্তা।”
বেলা বাড়লে নকুল মাঝি এসে তাকে পাকড়াও করল, চীৎকার করে বলতে লাগল, “আমার লগে ইয়াকি। তাঁর বাপ আমারে মান্য কইরা কথা কাইত, আমার লগে তুই ইয়ার্কি দেস।”