পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গো, বিয়ে হবে না কো, মোর কোন ঘাট নেই। তুই তো রাইলি হাতের পাঁচ, ওদিকে কোথা ফুর্তি করছে। রেবতী ঠোঁট উল্টে বলে, আহা, যেন ধরতে পারে না 6का ! कांब्रश्थांनीध्र 6कांव्भांब्ल फ्रव्छ दब्लछिल ना ? বলতে বলতে অদ্ভুত একটা মুখভঙ্গি করে বলে, টের পেয়েছি ব্যাপার। ফুর্তিতে মন চন-চন করছিল--কি করি করি। দু’চারটে স্বস্যাঙ্গাতকে বলতে গিয়েছিল ব্যাপার, বান ডিঙ্গিয়ে বিয়েতে আসতে হবে। গিয়ে ফুর্তির চোটে এগিয়ে গেছে হাঙ্গামার ব্যাপারে, হিসেব নিকেশ বাদ পড়েছেওমনি ধরেছে। খপ করে । গিরি বলে, ও বাবা । বিয়ে গেল বাতিল হয়ে তবু তুই দেখি ভাবের ঘোরে গদ গদ । রেবতী মুখ বঁাকিয়ে মাথা নেড়ে বলে, না গো মামী, ভাগ্নীটা তোর বডড বোকা মেয়ে। একেবারে হাড় চাষাড়ে বোকা । একবার কি খেয়াল হল জিগগেস করি কলে কাজ কি করে, কি জন্যে গণ্ডগোল ? কে জানে, মরে গিয়েও осеvo 98 না, রেবতীর বিন্দুমাত্র অবিশ্বাস নেই। তাকে পাওয়ার জন্য যে পাগল, তার মামা-মামীরা বন্যার মধ্যেও জোর করে বিয়েটা ঘটিয়ে দেবার ব্যবস্থা করায় হাতে যে স্বৰ্গ পেয়েছে সে কখনো স্বেচ্ছায়। এ-রকম করে ? আপশোষে ফেটে যেতে চায় রেবতীর বুক। কিসের কল, কলে তার কি খাটুনি, কি নিয়ে কেন হাঙ্গামা এসব যদি খুটিয়ে জেনে রাখত, যদি একবার খেয়াল হত যে