পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেবতী ছড়া-গান দিয়ে সুরু করে নি। মিনিট দশেক বলে গিয়েছিল তার মত মেয়েদের অবস্থার কথা । জ্ঞানী গুণী বিদ্যানের বক্তৃতার ভাষা বা ভঙ্গিতে নয়, প্ৰাণের জ্বালায় র্কোন্দল করার সহজ সরল ভাষা আর ভঙ্গিতে । বলতে বলতে রাগ যেন মাথায় চড়ে গিয়েছিল। রেবতীর, খোপ খুলে চুল এলিয়ে দিয়ে কোমরে আঁচল জড়িয়ে তারপর চেচিয়ে বলেছিল, ছড়া-গান জানি না। শুধু ছড়া শুনবেন।--ছাড়া ? আসর যেন ফেটে পড়েছিল আগ্ৰহে, শুনিব, শুনিব,- ছড়াই শুনব । রেবতী সুর করে গেয়ে গিয়েছিল। মনসা-ভাসানের বটতলার চলতি ছড়ার খানিকটা অংশ। সাপে-কাটা মৃত স্বামীকে নিয়ে বেহুলা ভেসে চলেছে ভেলায়, তার রূপে মুগ্ধ প্রেমিকেরা ডেকে ডেকে বলছে, “সুন্দরী লো, আমার ঘরে शाश, 6ड द्धि भछा विशाछेश। दि एक ?” বেহুলা ডাক শোনে না, ভেসে চলে। হৈ-হৈ রৈ-রৈ করা আনন্দে মত্ত হয়ে বঁাচার ডাক, শাড়ী, গয়না, দাস-দাসীতে রাজরাণীকে হার মানাবার ডাক, আদর, আহলাদ সোহাগের রসে হাবুডুবু খাবার ডাক-কিছুই কানে তোলে না বেহুলা। কত কালের পুরানো কত বারের শোনা ছড়া। • গলাকঁপানে টানা সুরে গেয়ে যেতে যেতে রেবতী যেন রাসিয়ে যায়, জমে যায়, মজে যায়। সুরুতেই সে এমন ভাবে জমিয়ে না দিলে আগাগোড়া গানের আসর হয় তো এ রকম জম-জমাট হত না, আন্দোলনে যোগ দেবার জন্য আহুত ) OV)