পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; তারপর পৌছল। দীনু কবরেজে ছেলে সুৰ্য্যো সেন শৰ্মা —যার ওই দন্তরুিচি কৌমুদী দাতের মাজনটা ইষ্টিসনে গায়ে গাঁয়ে খুব ফিরি হচ্ছে। দাত মেজে দেখেছি এক আনায় প্যাকেট কিনে, ওই নুন কল্পর আর নিমের আরকের ব্যাপার। কোনটাতে রেবতী অধীর হয়ে বলে, সাপের কামড়ের কথাটাই বলে না ? বিষ্ট, মহাজনের ছেলেটা তো মরে নি ? তার অধীরতায় খুন্সী হয়ে অর্জন বলে যায়, ছেলেটা মরল কৈ ? মরাল তো ঢোলন ওঝা । বলে সে যেন নিজের মনে কি ভাবতে থাকে। আরও অধীর হয়ে রেবতী বলে, তারপর কি হল বল না ? আরও খুন্সী হয়ে অর্জন বলে, সে হল মজার ব্যাপার। শশধর ডাক্তার সুৰ্য্যো কবরেজ ঢোলন ওঝা তিন জনে হাজির হয়ে ঝগড়া জুড়েছে দেখে বিষ্ট মহাজন কেঁদে ফেললে। বললে, ভগবান কে আমার ছেলেকে বঁাচাতে পারে তা তো জানিনে। এখন আমি করি কি । রেবতী মুখের রাঙা জল ফেলে দিয়ে একটা টোক গিলে স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। কবিগান গাওয়া চাষা ছাড়া এমন ভাবে কি কেউ বৰ্ণনা করতে পারে সাধারণ একটা ঘটনা ? তারপর কি হল জানিবার জন্য রেবতী যেন নিজেকে পৰ্যন্ত ভুলে যায়। অৰ্জুন কেঁচার খুটে নাক ঝেড়ে বলে, কেঁদে উঠেই বিষ্ট মহাজন করলে কি জান ? ব্যাটা কাণ্ডুসের কণ্ডুস, ছেলেটাকে --পেটে ভরে মাছ দুধ খেতে পৰ্যন্ত দিত না। উঠে গিয়ে Σ Σ