পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांभिक वहां बनी বকুল অভিমান করে। সে আসিয়া খরচ বাড়াইয়াছে বিধান একবার প্ৰতিবাদ করিলে সে খুশী হইত। কারো মন বুঝিয়া একটা কথা যদি বিধান কোনোদিন বলিতে পারে। খানিক পরে আবার উল্টা কথা ভাবিয়া বকুলের অভিমান কমিয়া যায়। তাই বটে দাদা কি পর যে তোষামন্দ করিয়া কথা কহিবে তার সঙ্গে ? আবার সে প্যান প্যান শুরু করিয়া দেয়। যুক্তি দেখায় যে ও-সব বাজে ওজোর বিধানের, এই যে সে আসিয়াছে, সংসার অচল হইয়াছে কি ? একটা বোঁ আসিলেও স্বচ্ছন্দে সংসার চলিবে। তার চেয়ে বেশি ভাত বৌ খাইবে না নিশ্চয়। ংসারের ভার গ্রহণ করার আনন্দ বিধানের এদিকে কয়েক মাসের মধ্যেই তিতে হইয়া গিয়াছিল : এই বয়সে ভায়ের স্কুলের মাহিনী দিতে রোজ হাটিয়া আপিস করা যদি বা সন্থ হয়, একেবারে নব্বই নব্বইটা টাকাতেও যে মাসের খরচ কুলায় না। এটুকু মাথা গরম করিয়া দেয় তরুণ মানুষের। বকুলকে একদিন বিধান ভয়ানক ধমকাইয়া দিল। বলিল, বিয়ে । বিয়ে। একটা টু্যসানি খুজে পাচ্ছি না, বিয়ে বিয়ে করে পাগল করে দিলি আমায়। ফের ও কথা বললে চড় খাবি খুকী । বলিয়া সে আপিস গেল। বকুল নাইল না, খাইল না, গোসা করিয়া শুইয়া রইল। বিকালে বাড়ী ফিরিয়া বিধান শুনিল শ্যামার বকুনি, তারপর সে বকুলকে তুলিয়া খাওয়াইতে গেল। আজ বিভা বসিয়াছিল বকুলের কাছে। বিধানের সঙ্গে আগে সে কোনোদিন কথা বলে নাই, আজ দিয়া করিয়া বলিল, পালাচ্ছেন কেন, আসুন না ? কি বলেছেন বোনকে, বোন আজ রাগ করে। সারাদিন খায় নি ? তারপর বিভা বলিল, শামু খুব প্ৰশংসা করে বিধানের। জগতে নাকি এমন বিষয় নাই বিধান যা জানে না ? পড়াটড়া জানিতে আসিয়া শামু বোধ হয়। খুব বিরক্ত করে বিধানকে ? আশ্চৰ্য মেয়ে, মানুষকে এমন জালাতন করিতে পারে ও ! বিভা এই সব বলে, বিধান মুখ লাল করিয়া আড়ষ্ট ভাবে শোনে। শ্যামাও তো পিছু পিছু আসিয়াছিল বিধানের, সে আর বকুল ভাবে শামুর কথা ওঠায় বিধানের মুখ লাল হইয়াছে। তারা তো বুঝতে পারে না እኳምቅ..