পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गङ्द्रङलो যেমনই হোক, আগাগোড়া দেশের জন্য কি গভীর মমতা প্ৰবন্ধটিতে প্ৰকাশ পাইয়াছে ? দেশের দুরবস্থার, বিশেষতঃ যুবকগণের বেকার সমস্যার যে শোচনীয় বৰ্ণনা আছে, শুনিতে শুনিতে কী গভীর হতাশায় মন ভরিয়া যায় ? কেমন একটা প্রেরণা জাগে মনের মধ্যে যে অন্য চিন্তা চুলোয় পাঠাইয়া হাসিমুখে আদর্শের জন্য প্ৰাণ বিসর্জন দেওয়ার মত বাজে গোয়ার্তামি ভুলিয়া গিয়া, বড় কিছু করা আর বড় কিছু হওয়ার মরীচিকাকে প্রশ্রয় না দিয়া, ভবিষ্যতে যাতে কোন রকমে খাইয়া পরিয়া সুখে থাকা যায় প্রথম বয়স হইতেই প্ৰাণপণে সেই চেষ্টা করা কীৰ্ত্তব্য ? নন্দ উৎসবে গিয়াছিল, বাড়ী ফিরিয়াই বলিল, “একটা চাকরী না হলে আর চলবে না দিদি ৷” রাত তখন দশটা বাজিয়াছে। যশোদা বলিল, “তুমি যদি চাকরী করবে তো কোত্তন গেয়ে দিন কাটাবে কে ? কাল সকালতক সুবুদ্ধি টিকিবে না, টেকে তো কাল সকালে চাকরীর ভাবনা ভাবিস। এখন খেয়ে নিয়ে আমায় ছুটি দে তো, গরমে সিদ্ধ হলাম।” ভাইকে ভাত বাড়িয়া দিয়া বলিল, “মতি বুড়ো আর সুধীর এখনো ফেরেনি। জ্বালিয়ে খেলে| দুটোতে আমাকে-চাকরাণী পেয়েছে আমায়। কাল যদি না डाgाशे छूbiएक আজ গুমোট দিয়া এমন গরম পড়িয়ছে যে, রাত্রে ঘরের মধ্যে যশোদার ঘুম আসিল না। ঘণ্টাখানেক এপােশ ওপাশ করিয়া আর প্রাণপণে হাতপাখা চালাইয়া সে উঠিয়া গেল ছাতে, ভাবিল বাকী রাতটা ছাতেই মাদুর পাতিয়া শুইয়া থাকিবে । ছাতে গিয়া দ্যাখে কি, তিল ধারণের স্থান নাই । দশ-বারজন মানুষ এলোমেলোভাবে মাদুর আর ছেড়া সতরঞ্চি বিছাইয়া সমস্ত ছাতটি দখল করিয়া আছে, কেউ ঘুমাইয়া পড়িয়াছে, কেউ বসিয়া বসিয়া টানিতেছে বিড়ি । দু-চারজন মানুষ হইলে যশোদা হয়তো গ্ৰাহা করিত না, একপাশে মাদুর বিছাইয়া শুইয়া পড়িত। কিন্তু এতগুলি পুরুষের সঙ্গে ঘোষা ঘোষি করিয়া মেয়েমানুষ কি ঘুমাইতে পাৱে ? মতি আর সুধীর খানিক আগে ফিরিয়া আসিয়াছে, ঘরের ভিতর হইতেই যশোদা সেটা টের পাইয়াছিল। কিছু না বিছাইয়াই দু’জনে একপাশে শুইয়া পড়িয়াছে, বোধ হয় যশোদাকে ছাতে আসিতে দেখিয়া । দু’জনে নেশা করিয়া RN