পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরতলী না মেনে খেয়ে গেল, বলবি না বলে তুই যে আমায় বলে দিলি বড় ? ধিক তোকে বিশ্বাসঘাতক । বিশ্বাসের মান যে রাখে না মানুষের মধ্যে তাকেই বলি সবচেয়ে হীন, চোর-জোচোর ভাল তার চেয়ে ।” এরকম সময়ে যশোদাকে বড়ই দুৰ্বোধ্য মনে হয়। কি যে তার মনের उाद, ब्रा5 cन जडशे कविशicछ न नर|}|शे তার ভাণ, কিছুই বোঝা যায় না । হাসি-তামাসা করা চলে এমন একটা তুচ্ছ ব্যাপারে কথা দিয়া কথা রাখে। নাই, তাও যশোদারই জোরালো জেরার ফাঁদে পড়িয়া, এটা কখনও নন্দর এতবড় অপরাধ বলিয়া যশোদা ভাবিতে পারে ? মুখ দেখিয়া কথা শুনিয়া মনে হয়। কিন্তু তাই সে ভাবিতেছে। নন্দ ভয়ে ভয়ে বলে, “তুমি যে জিজ্ঞেস করলে ?” “জিজ্ঞেস করব না ? জিজ্ঞেস তো আমি করবই-আমি কি গুণে জানি একজনের কাছে তুমি পিতিজ্ঞে করেছ। আমায় কিছু বলবে না ? চুপ করে থাকতে পারতে না তুমি ? “চুপ করে থাকলেও তো তুমি বকতে।” ‘বকতাম তো কি হয়েছে ? পিতিজ্ঞে রক্ষার জন্যে মুখ বুজে একটু বকুনি যদি না সইতে পার, তুমি মানুষ কিসের শুনি ?” এক জায়গায় কাজ করে বটে, তবু মতির সঙ্গে সুধীরের বন্ধুত্ব হওয়াটা সত্যই বড় খাপছাড়া ব্যাপার। মতির চুলে পাক ধরিয়াছে, মানুষটা সে শান্ত, ভীরু এবং একটু মতলববাজ । সুধীরের বয়স ত্রিশেরও কম, বেঁটে আর চওড়া শরীরটা তার লোহার মত শক্ত, যেমন অশান্ত তেমনি নিষ্ঠুর তার প্রকৃতি এবং পৃথিবীর সকল গোয়ারের মত সে বোকা। তবু মতির সঙ্গেই সুধীর ভিড়িয়া গিয়াছে, দু’জনে একসঙ্গে হাসি-তামাসা গল্প-গুজব করে, নেশা আর আমোদ করিতে যায়-দু’টিতে যেন সমবয়সী ইয়ার। রাস্তায় পা দিয়াই সুধীর এক গাল হাসিয়া বলিল, ‘চাদের মাকে ফাকি দিয়ে কেমন দুজনে পেট পূজাটি সেরে এলাম মতিদা !? “ফাকি না তোর মাথা। আমরা যাতে খাই তাই জন্যে তো ও ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল, তাও বুঝিস না পাঠা ? ‘বটে নাকি, হঁ্যা ?”