পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্ৰন্থাবলী ‘সীতুদার ডাক শুনে উঠে দেখি নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। কোথা গিয়েছিলে তোমরা ?? মনোজিনী বলল, “মাঝে মাঝে ওর নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। কিন্তু এত বেশী তো কোনদিন পড়ে নি । বন্ধ হয় নি। এখান ?” “প্ৰায় বন্ধ হয়ে এসেছে।” সীতানাথের ঠোঁটও কেটে ফুলে উঠেছে। তারক ভাবে, আপনা থেকে নাক দিয়ে রক্ত মানুষের পড়ে, গলগল করেও পড়ে। কিন্তু ঠোঁট কেটে ফুলে ওঠা চাপা পড়বে কিসে ? সীতানাথ কি এতই হাবা যে এখনো সে টের পাচ্ছে না। সকলে তার অপরাধ না-জানার অভিনয় করে চলেছে ? তাই যদি হয়। অমন হাবা ছেলেকে শুধরে বদলে নিয়ে লাভ কি হবে মনোজিনীই জানে ।” “আর জল দিতে হবে না।” মনোজিনী এগিয়ে গিয়ে সীতুকে ধরে আস্তে আন্তে শুইয়ে দিল ।-‘এবার জলপটি দিলেই হবে। পাখাটা আন তো পুষ্প ।” “পাখা ? উনুন ধারাবার ভাঙ্গা পাখাটা ছাড়া “একটা পাখাও নেই তোদেৱ ?? গায়ের আঁচল খুলে নিয়ে ভাজ করে মনোজিনী সীতানাথকে বাতাস করতে লাগল, গায়ে তার রইল। শুধু ব্লাউজ। সীতানাথ এতক্ষণ মনোজিনীর দিকেই তাকিয়ে ছিল, এবার সে চোখ বুজলা। তারক নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল। নিচে চৌবাচ্চার জলে তার রক্তমাখা হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। হাবা ? না, সীতানাথ রোমাণ্টিক। মধ্যরাত্রির এই নাটকটি তার ভাল লাগছে। অন্ধকারে মনোজিনীর কাছে উঠে যাবার সময় তার শুধু বুক টিপ, টিপ করছিল, হয়তো মুখ শুকিয়ে কানটাও ঝাঁ ঝা করছিল একটু, তার সেই একাগ্ৰ উত্তেজনা খণ্ড খণ্ড হয়ে লজ্জা ভয় ব্যথা ঔৎসুক্য ও আতঙ্ক, মার খেয়ে আদর পাওয়ার জয়গৌরব, দুর্বোধ্য আবেগ, একসঙ্গে হাসিকান্না পাওয়া, রূপকথার রাজ্যে যাওয়ার স্বপ্ন যেন মিটছে আর মনোজিনীর সঙ্গে একটা গোপন কাব্যিক সন্ধি হয়েছে এই বিশ্বাস তাকে উদভ্ৰান্ত, অভিভূত করে দিয়েছে। মনোজিনী পাশে বসে হাওয়া করছে, কোথাও দু’চার ইঞ্চি জায়গায় ছুয়ে আছে মনোজিনীর দেহ, তাতেই হয়তো cभं इ८छ् चांद्म चंद्र | 8ክነቶም