পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांकि काथइांत्रौ পাঠক পাঠিকা-অৰ্থাৎ দেশের লোকের উপেক্ষা বা খাতিরাটাই সাহিত্যের সাথকতার নিরিখ । বাংলার লেখকরা অভিজ্ঞতা থেকে এই শিক্ষা লাভ করেছেন ? লোকের মুখ চেয়ে বাংলার লেখকের দিশেহারার মতো একবার ‘প্রচারধর্মী” এবং একবার ‘সূক্ষ্মভাবে আঙ্গিক-সর্বস্ব’ হয়ে যাচ্ছেন । আচু্যতবাবুর এ সিদ্ধান্ত মানতে পারলে আমি নিজে অন্তত চিরদিনেয় জন্য লেখা বন্ধ করে সাহিত্যের ক্ষেত্র থেকে দূরে সরে গিয়ে বড়বাজারে মশলার দোকান নিতাম। দেশের লোকের গ্রহণ বা বাজনের প্রশ্নটা মোটেই তুচ্ছ নয়-লেখকের কাছে বরং সেটাই প্ৰধান কথা । দেশের জন্যই তো লেখক লেখেন । কিন্তু লেখক কি নিজের স্বাথে লেখেন ? দেশের লোকের আদর আর অনাদরের হিসাবটা কি লেখক কাষবেন নিজের স্বাথের মানদণ্ডে ? নিজের স্বাথে পাঠকদের কাছে পাত্তা পাবার জন্য ‘প্রচারধর্মী’ হয়ে সাহিত্যের আসরে নেমে সুবিধা হচ্ছে না দেখে ‘অভিজ্ঞতার শিক্ষা” স্বীকার করে পাঠকের মন যোগানোর জন্য ভোল পাল্টে লেখক ‘সূক্ষ্মভাবে আঙ্গিক-সর্বস্ব’ হবেন ? আচুৰ্যতবাবু কী করে বাংলার লেখকদের এরকম ছোটলোক (খারাপ লোক আথে-গরীব চাষী মজুৱ অৰ্থে নয় ) ভাবতে পারলেন কল্পনা করতেও আমার বিস্ময়ের সীমা থাকছে না । লেখক কে ? পিতার মতো যিনি দেশের মানুষকে সন্তানের মতো জীবনাদর্শ বুঝিয়ে শিখিয়ে পড়িয়ে মানুষ করার ব্ৰত নিয়েছেন। পিতার মতো, গুরুর মতো জীবনের নিয়ম অনিয়ম বঁাচার নিয়ম আনিময় শেখান বলেই অল্পবয়সী। লেখক-শিল্পীও জাতির কাছে পিতার মতো, গুরুর মতো সন্মান পান । দেশের মানুষের মন যোগাতে চেয়েছিল বলে কি আমাদের কিশোর কবি সুকান্তকে দেশের আবালবৃদ্ধবণিতা এত ভালোবাসে এত সম্মান করে ? দেশের মানুষকে সন্তানের মতো দেখে কাব্যের মারফতে তাদের মানুষ করার ব্ৰত নিয়েছিল বলেই কিশোর কবিকে জাতি পিতার আসনে বসিয়েছে। এটাই আসল কথা । দেশের লোকের সন্তা খাতিরকে লেখক-শিল্পী খাতির করেন না । দরকার হলে দেশের মানুষকে কান মলে শাসন করার অধিকার খাটাতে লেখক-শিল্পীর দ্বিধা বা ভয় হবার কথা নয়। তেতো ওষুধ খেতে পািচ্ছন্দ করবে না বলে বাপ কি রুগ্ন শিশুকে ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকেন ? (tise