পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाद्रि जकौ 丐闵呼忆可旧 বাড়ী ঢুকিয়াই কারণটা বোঝা গেল। ছেলেমেয়ে তিনজন কঁদ-কঁাদ মুখে একপাশে দাড়াইয়া আছে, বিধু চোখ বুজিয়া পড়িয়া আছে চৌকির মলিন বিছানায় এবং শিয়রের কাছে টুলে বসিয়া হিমানী তার মাথায় ডবল আইসব্যাগ চাপিয়া ধরিয়া আছে । অবস্থাটা বুঝিতে একটু সময় নিয়া শঙ্কর প্রশ্ন করিল, কি হয়েছে ? হিমানী বলিল, জ্বর। অজ্ঞান হ’য়ে পড়েছিলেন, এখনো জ্ঞান হয় নি । ছেলেদের চোঁচামেচি শুনে এসে দেখি মেঝেতে প’ড়ে আছেন । ঘামে জামাটা ভিজিয়া গিয়াছিল। কিন্তু হিমানীর সামনে খোলা চলে না।--তলায় গেঞ্জি নাই। স্বামীর খালি গা’ও হিমানী কোনদিন দেখে নাই বলিয়াই শঙ্করের বিশ্বাস। বোতামগুলি আলগা করিয়া দিয়া সে বলিল, আমার আপিস এত দূরে যে ওরা চেচিয়ে ম’রে গেলেও শুনতে পাই না । এই বাহুল্য কথাটা বলিবার উদ্দেশ্য অবশ্য বাহুল্য নয়, হিমানী চুপ করিয়া রহিল। ছোট মেয়েটি বাবাকে দেখিয়া কঁদিতে আত্মস্ত করিয়াছিল, চোখের শাসনে তার কান্না থামাইয়া শঙ্কর বলিল ; আজ এসে দেখছি অজ্ঞান, আর একদিন এসে হয় তো দেখবা ম’রে গেছে ! শঙ্করের আশঙ্কা হাল্কা করিয়া দিবার কোন চেষ্টা না করিয়া হিমানী বলিল, এ সময় কোন আত্মীয়াকে এনে কাছে রাখা উচিত । শঙ্করের সুর তৎক্ষণাৎ বদলাইয়া গেল ! এখনি ? এই তো মোটে সাত মাস। এখন ভয় কিসের ? হিমানীর মুখের উপর দিয়া একটা কালো মেঘ আসিয়া গেল, কথা কহিল ক্লিষ্ট স্বরে, এ যে কী ভয়ানক সময় আপনি বুঝবেন না । যত সাবধান হওয়া যাক ভয় কমে না । সৰ্ব্বদা একজন মেয়েমানুষ কাছে না থাকলে যে কি সৰ্ব্বনাশ হয়ে যেতে পারে অন্ধকারে সাপের ঠাণ্ডা স্পর্শ পাওয়ার মত শিহরিয়া সে চুপ করিল। দেখা গেল মুখ তার ভারি বিবৰ্ণ হইয়াছে। তিনটি সন্তানের জননীর সম্বন্ধে অপুত্ৰবতীর আশঙ্কার পরিমাণটা শঙ্করের কাছে পরমাশ্চৰ্য্যের মত লাগিল। এ ভাবে হিসাব করিলে সকল অবস্থায় নরনারী-নির্বিবশেষে কতরকম সৰ্ব্বনাশই তো হইতে পারে, Qpe Y