পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'est <Fjöl es-Sa's হ’য়ে এসেছে বেড়াটা, এখানে ওখানে মেরামত হয়েছে, আর এখানে পড়েছে মাটির চাবড়া, ওখানে গোজা হয়েছে ভ্যাকড়া, সেখানে সাটা হয়েছে কাগজ। w BBDDBS DBB ELD BBDB SDDD DDD DBTSYASgK থেকেই। হঠাৎ গোবরগোলা জল বেড়া ডিঙিয়ে এসে পড়ত গায়ে। গোবৰ্দ্ধনের মেয়ে পরীবালা একদিন চোখ পেতে আছে বেড়ার ফুটোয়, জনাের্দনের মেয়ে তাকে তাকে থেকে একটা কঞ্চি সেই ফুটো দিয়ে চালান ক’রে দিল তার চােখের মধ্যে। চোখ যায় যায় হল পরীবালার, মাথা ফাটে ফাটে হল গোবৰ্দ্ধন ও জনাৰ্দন দু’ভায়ের, ক'দিন পাড়ায় কাণ পাতা গেল না। দু'বাড়ির মেয়েদের গলাবাজীতে । বেড়ায় কঁথা-কাপড় শুকতে দিলে অদৃশ্য হয়ে যেত। এটো-কঁটা, নোংরা, ছেলেমেয়ের মল বেড়া ডিঙিয়ে পড়ত একপাশ থেকে অন্যপাশে। এ পাশের পুই বেড়া বেয়ে উঠে ও-পাশের আয়ত্তে একটি ডগা একটু বাড়ালেই টেনে যতটা পারা যায় ছিড়ে নেওয়া হত ৷ বেড়া ডিঙিয়ে অহরহ আসা-যাওয়া করত সমালোচনা, মন্তব্য, গালাগালি, অভিশাপ । চেরা বাঁশের বেড়াটাকে মাঝে রেখে এমন একটানা শক্ৰতা চলত দু’পাশের দু'টি পরিবারের মধ্যে যে, সময় সময় মনে হত কবে বুঝি ওপাশের চালা পুড়িয়ে দেবার ঝোক সামলাতে না পেরে এপাশে নিজের চালাতেই আগুন ধরিয়ে দেয় ! গোলমাল এখনো চলে, বিদ্বেষ এখনো বজায় আছে পুরো মাত্রায়। তবে গোড়ার দিকের মতো খুটিনাটি তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে অহরহ হাঙ্গামা চলে না, গায়ে পডে সহজে কেউ ঝগড়া বাধায় না। ঢিলটি মারলে যে পাটকেলটি খেতে হবে দু’পাশের মানুষগুলি সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে সংযম অভ্যাস করতে বাধ্য হ’য়েছে । আক্রমণাত্মক হিংসা কমে এসে এখন দাড়িয়েছে ঘূণা, বিদ্বেষ, অবজা, উপেক্ষা, অবহেলাত্মক মনোভাবে । খোচাবার ও গায়ের বাল ঝাড়বার প্রক্রিয়াও ক্রমে ক্ৰমে বেশ কৌশলময় ও মাজ্জিত হ’য়ে উঠেছে। এ পাশের ছেলেমানুষ কানাই মাঝের বেড়ার মাহাত্ম্য ভুলে ও-পাশে সমবয়সী বলাইয়ের সঙ্গে খেলতে গেলে, শত্রুপক্ষের ছেলেকে আয়ত্তে পেয়েও ও-পাশের কেউ তাকে ধরে পিটিয়ে দেয় না, আচ্ছা ক’রে মার দেওয়া হয় বলাইকে । এ-পাশ থেকে হাক ওঠে, কানাই! কানাই এলে তাকে চডচাপড় মেরে উচ্চকণ্ঠে প্রশ্ন করা হয়, ও-বাড়ী মরতে গেছিলি কেনরে, বেহায়া পাজী বজাত ? ও-পাশ থেকে জবাব আসে বলাইএর প্ৰতি আরও জোর গলার শাসনোতে, ফের যদি ওবাড়ীর কারো সাথে তুই খেলিস হারামজাদা নচ্ছার দু’পাশেই ছেলেমেয়ে আছে, হাজার বলে তাদের বোঝানও বায় না যে, বেড়ার ও পাশ যেতে নেই। GIRIMÇAKÇI Vți fato Qtar i VGK 3 Gryfq13 Ridd রেহাই নেই। এপাশের বেড়াল ও-পাশে হাড়ি খেতে গেলে তার রক্ষা থাকে না । দু’পাশের হাড়িই যখন প্ৰায় শূন্য থাকছে দুভিক্ষের দিনে, জনাৰ্দনের ছেলে চন্দ্ৰকুমারের বৌ রাণীবালার পোষা বিড়ালটা মেউ মেউ ক’রে বেড়াচ্ছে খিদেয় কাতর হয়ে, গোবৰ্দ্ধন একদিন কোথা থেকে যোগাড় ক’রে নিয়ে এল আধাসেরি একটা রুইমাছ! মাছ দেখে খুলী হ’য়ে হাসি DDD DBB DBBDSuuD BD BBD BBB BDDE DDD এই উপলক্ষে। গোবৰ্দ্ধনের ছেলে সূৰ্য্যকান্তের বেী লক্ষ্মীরাণী আঁশ বঁটি পেতে কুটতে বসল মাছ। মাছ কাটা শেষ হ’য়েছে, কাছে দাড়িয়ে সূৰ্য্যকান্ত বৌয়ের দিকে গোড়ায় যেমন তাকাত প্ৰায় সেই রকম সপ্রেম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাছের দিকে, কোথা থেকে রাণীবালার আদুরে বিড়াল এসে এক টুকরো মাছ মুখে তুলে নিল। মাছ কাটা বঁটিটা তুলেই সুৰ্য্যকান্ত বসিয়ে দিল এক কোপ। রাণীবালার আহ্বরে বিড়াল একটা আওয়াজ পৰ্যন্ত না ক’রে মরে গেল। মাছের টুকরোটা মুখ থেকে ৬ সে পড়ায় লক্ষ্মীরাণী সেটা তুলে রাখলািপড়িতে । পথের ধার থেকে মরা বিড়ালটা কুড়িয়ে নিয়ে গেল চণ্ডী বসাক। চাল ছিল না। কিন্তু ঘরে তার একটু মুণ আর একটু হলুদ-লিঙ্কা ছিল । ঘুরে ঘুরে হত্যা দিয়ে দুটি খুদকুড়ো চণ্ডী যোগাড় ক’রে নিয়ে এল। বাল ঝাল বিড়ালের মাংস দিয়ে সে-দিন সে দু'বেলা ভোজ খেল সপরিবারে । হত্যাকাণ্ডের খবরটা রাণীবালা পেল পাচুর মার কাছে। ও-বাড়িতে পাঁচুর মা দু'টি চালের জন্য গিয়েছিল, অনেকক্ষণ ধন্ন দিয়ে থেকেও শেষ পৰ্য্যন্ত পায়নি । নিজের চোখে সে ঘটনাটা দেখেছে আগাগোড়া। এ কি কাণ্ড মা, ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘর করিস, হিংসে করে মা-বতীয় বাহনকে মারলি একাদশীর দিন, এত শক্ৰতা ? “দু'টি চাল দিবি বেী ? দে মা, দু'টি চাল ? বিড়াল ছানা দেব তোকে একটা, তোর পায়ে ধরি খুদকুড়ো बाtशक ६ cम।' “কোথা পাব গো ? চাল বাড়ন্ত । খুদকুড়ো শাউড়ী আগলে আছে।” বলে ৰিড়ালের শোকে রাণীবালা কঁদতে থাকে, বাড়ীর DBDBB BDDDS SDBLuS SBDD KDBDL DD SBBJ ডুকুরে কেঁদে ওঠে, অভিশাপও দিয়ে বসে ও-পাশের খুনেদের । ছেলেবেলা থেকে রাণীবালা বিড়াল পুষতে ভালবাসে, কত পোষা বিড়াল তার মরে আর হারিয়ে গেছে। ও-বাড়ীর লোক হত্যা না ক’রলে হয়তো ৰিড়ালটার 曙弱 q5("f平 可t羽 夜5ā | কিন্তু এমনি অবাক কাণ্ড, এই নিয়ে কুরুক্ষেত্ৰ ৰাধানোর বদলে জনাৰ্দন তাকেই ধমক দিয়ে বলল, “আঃ চুপ কর oo ootot Got "