পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

p 'चांगांद्र ब्रिकांद्र cनहे -श्र:कांगल अबांबशि । এগারটা পৰ্য্যন্ত নীচের তলায় কোন রকম গোলমাল ছিল না, তারপর্ব এমন হৈ চৈ হট্টগোল সুন্ধ হয়ে গেল যেন হাট বসেছে । DKLDBK DBDBDSSSSDD DL LtEEE SBLBBB এ বাড়ীতে দিবাকর বাবুর প্রচণ্ড শাসন কেবল তার নিজস্ব সুখসুবিধা আর জালাতন হওয়া • হওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ। চোখ আর কাণের আড়ালে কি ঘটছে। সে বিষয়ে তঁর কিছুমাত্র মাথা ব্যথা নেই, তঁর সামনে সবাই ভয়ে ভয়ে সন্তপণে চলাফেরা করবে, জোরে কথা বলবে না, হাসবে না, ছেলে মেয়েরা পৰ্য্যন্ত চেচামেচি দুরন্তপণা বন্ধ রাখবে-এইটুকু হলেই তিনি সস্তুষ্ট। তাই, তিনি একতলায় নামলে দোতালা হাফ ছেড়ে শঙ্কিত হয়ে ওঠে, দোতলায় সুরু হয়। চেঁচামেচি ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি। বড়রা অবশ্য মারামারিটা করে না, সেটা ছেলেমেয়েদের একচেটিয়া হয়েই থাকে, বড়রা শুধু তাদের মারে। যখন তখন যার যাকে খুলী হরদম মারে। মনের মধ্যে সকলে যেন কি জ্বালা পুবে রেখেছে, ছোটদের ওপর কারণে অকারণে ঝাল না ঝেড়ে থাকতে পারে না | নিজের বইখাতা গুছিয়ে রমেন এক ঘরে বসে আছে। সুকোমল বলেছিল, সারাদিন না খেয়ে ঘরে বসে থাকলেও কেউ আর তাকে ডাকতে আসবে না। রমেন তা স্বীকার করেনি এবং তার ভুল ধারণা ভেদে দেবার জন্য তাকে নাইতে পাঠিয়ে নিজে প্ৰতীক্ষা করছে। তেল মেখে গামছা হাতে সে একেবারে তৈরী হয়ে আছে, দু’চার মিনিটের মধ্যেই যে আদর আহবান আসবে তাতে যেন তার কিছু মাত্র সন্দেহ নেই। সুধাকরবাবুর স্ত্রী মনোরম সত্য সত্যই কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘরে এলেন। ঠিক নাইতে যাওয়ার আহ্বান নিয়ে নয়, পরিচয় করতে। রমেনের বেয়াদবির গন্ধ ইতিমধ্যেই মুখে মুখে আলোচিত হয়ে উপন্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে, মনোরম এতক্ষণ তাই শুনছিলেন। দিবাকরবাবুর স্ত্রী অনুপমা আর সুধাকর বাবুর স্ত্রী মনোরমা এই দু'টি জায়ের মনের গতি সর্বদাই পূব আর পশ্চিমের মত পরস্পরবিরোধী। একজন লালপাড়া শাড়ী পরলে অন্যজন পরেন। কালোপাড় শাড়ী, একজন রুই,মাছ খেলে পরে অন্যজন খান কৈ মাছ, একজন কারো নিন্দে করলে অন্যজন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। একজনের কোন ছেলে বা মেয়ে পৰ্য্যন্ত যদি অন্যজনের একটু বেশী আব্দর পায়, নিজের সেই ছেলে বা মেয়েকে ধরে তার মা আচ্ছা করে পিটিয়ে দেন। এখন, রমেন যখন আজ এল, মনোরমার কাছে সংবাদ ঠিকমতই পৌঁছেছিল। কিন্তু অনুপমা তাকে অভ্যর্থনা করতে গিয়েছিলেন বলে তিনি তাকে একবার চোখের দেখা দেখতে যাওয়ারও উচিত মনে ৰূরেন নি। তারপর অনুপমা যখন তীব্রভাবে রমেনের নিন্দে সুরু করলেন এবং স্পষ্ট ভাষাতেই ঘোষণা করে দিলেন যে বাড়ীর ছেলেদের মাথা খাবার জন্য এ শনিগ্ৰহকে তিনি বাড়ীতে যায়গা দিতে পারবেন না, দু’চারদিন দেখে দূর দূর করে খেদিয়ে দেবেন, তখন মনোরমার মনে হল এই তেজী সুবিবেচক, আদর্শ চরিত্র ছেলেটির সঙ্গে তো অতি অবশ্য তঁর ভাব করা দরকার। ঘরে ঢুকেই তাই হাসিমুখে অত্যন্ত মিষ্টি সুরে বললেন, "একলাটি বসে আছে। বাবা ? বাড়ী ছেড়ে ७. भाम Cश्म व्र6छ् ।' রমেন কঁাদ কঁাদ হয়ে বলল-s'হঁ্যা।” মনোরমা একটু ভড়কে গেলেন। এত বড় ধাড়ী ছেলের মুখে এমন ধারা জবাব কি শোভা পায় ? বাড়ীর জন্য মন কেমন করার অভিযোগ রমেন অস্বীকার করলে তিনি তাকে কি বলবেন মনে মনে তাই মনোরম। ঠিক করে রেখেছিলেন, চার পাঁচ বছরের ছেলের মত সে সহজ সরল জবাব দিয়ে বসায় তাকে এবার কি বলবেন খানিকক্ষণ তিনি ভেবেই পেলেন না। বোকা হাবা নয়তো ছেলেটা ? মাথার কোন দোষ নেই তো ? সহজ ও অকৃত্ৰিম আবেগের অনভ্যস্ত ধাক্কা সামলে মনোরমা তারপর বললেন, “ থিম দু’চার দিন ওরকম লাগবে বাবা । তা আমরাও তোমার পর নই। আমি হলাম গিয়ে তোমার-' মনোরমা থমকে থেমে গেলেন। তিনি রমেনের কে হন ? দূর সম্পর্কের পিসীমার জা’এর সঙ্গে কি সম্পর্ক a p “আপনি আমার ভালো পিসীমা ।” পিসীমা ? তাই বটে, রমেনের পিসীকে তিনি যখন দিদি বলেন, তিনিও রমেনের পিসীমা হন বটে। কিন্তু ভালো পিসীমা কেন ? ছোট, বড়, মেজ, সেজ, রাঙা, কালে মাসী পিসী দিদি বৌদি শুনেছেন, ভালো-পিসীমা তো শোনেন নি কখনো ! তিনি কি ভালো ? রমেন কি দেখেই চিনেছে তিনি মানুষটা মন্দ নন, মন তার ভালো ? মনোরমা একটা বিস্ময়কর আনন্দ অনুভব করেন। অনেক দিন ধরে মনের ওপর যেন একটা ভার চাপানো ছিল, ভারটা হাল্কা হয়ে গেছে। কতকাল ধরে শুনে আসছেন। তিনি হিংসুটে, স্বাৰ্থপর, ঝগড়াটে এবং আরও অনেক কিছু ! শুনতে শুনতে ধারণা জন্মে গেছে যে তিনি সত্যই তাই। হিংসা, স্বার্থপরতা আর ঝগড়াঝাটি নিয়েই দিনও তার কাটছে বৈকি । রমেনের কথা শুনে হঠাৎ মনে হল, ওসব কিছু নয়, অনেক কাল আগে অল্প বয়সে যেমন ছিলেন এখনো তেমনি আছেনসাদাসিদে ভালোমানুষ। তিনি ভালো । কাছে বসিয়ে আদর করে মনোরম রমেনকে খাওয়ালেন । অনুপমার পিত্তি জলিয়ে বার বার বলতে লাগলেন, খাস ছেলে দিদি। ছেলেমেয়েদের একটিবার ধমক দিলেন না, কারো দিকে কড়া চোখে তাকালেন না, ছেলেবুড়ে চাকর দাসী