পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झ लूप coों फु প্ৰত্যেকের সঙ্গে কথা কইলেন হাসিমুখে। মনে হতে লাগল, খোলস ছেড়ে মনোরম যেন নতুন মানুষ হয়ে গেছেন। খাওয়ার পর তিনিই রমেনকে বললেন, “এইটুকু ঘরে কি তিনজনের যায়গা হয় ? তুমি ওপরে থাকবে রমেন ? তখন রমেন বলল, “ভালে-পিসীমা, আমি এ ঘরে থাকি, সুকোমলকে ওপরে নিয়ে যান।” মনোরমা হেসে বললেন, “এ ঘরে থাকতে চাও তুমি ? বেশ বাবা, তাই হবে। সুকোমল ধীরেনের ঘরে যাক, তুমি atta RicoFi ' এ ব্যবস্থায় খুন্সী হওয়ার বদলে সুকোমল কিন্তু ভয়ানক চটে গেল। তার আত্মসন্মানে ঘা লাগল কি না । এতদিন বাড়ীর লোকের উপেক্ষায় তার অভিমানের সীমা ছিল না, আজ তাদের পক্ষপাতিত্বে সে হিংসায় পুড়তে লাগল। তাকে কেউ গ্ৰাহও করে না, রমেনের মুখের কথায় তার দোতলায় ভাল ঘরে থাকবার ব্যবস্থা হয়ে যায়। বাড়ীতে পা দিয়েই ছেলেটার এতখানি প্ৰতিপত্তি জন্মে গেছে ? কৃতজ্ঞতা বোধ করার বদলে রমেনের বিরুদ্ধে সে তীব্ৰ বিদ্বেষ অনুভব করতে লাগল। তার মনে হতে লাগল, উপকার করার বদলে রমেন তাকে ভীষণ অপমান করেছে। মনটা তার আরও বেশী খিচড়ে গেল, ওপরের ঘরে যেতে একান্ত অনিচ্ছা জানাতেও কেউ যখন তার কথা কানে তুলল না, ধৰমক দিয়ে জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল দোতলায় । কেবল সুকোমল নয়, অনুপমারও এমন রাগ হল বলবার নয় । একে তো প্ৰথমেই রমেনের ব্যবহারে তিনি বিরূপ হয়ে উঠেছিলেন, তার ওপর তার সম্পর্কে তার বাড়ীতে এসে মনোরমার দলে ভিড়ে তাকে যে অপমানটা সে করল তার জ্বালা চেপে রাখতে গিয়ে গায়ে জ্বর আসার মত শিউরে শিউরে উঠতে লাগলেন। মুখে যাই বলুন, দু'দিন দেখে সত্যি সত্যি কি আর রমেনকে তিনি তাড়িয়ে দিতেন ? এখন মনে মনে তিনি প্ৰতিজ্ঞা করে বসলেন, তেরাত্রি পেয়ানোর আগে ছোড়াটাকে তিনি বিদেয় করবেন, কাণ্ড করে ছাড়বেন। একটা। তাকে ডিজিয়ে তার ভাইপোকে ছোট-বোঁ কিসের Cats a KFC3 vests CMC GrCra দুপুরবেলা একবার অনুপমার ঘরের সামনে দিয়ে যাবার সময় ভেতরে রমেনের সঙ্গে তাকে গল্প করতে দেখে মনোরামার চশমা-পরা চোখে জল এসে পড়বার উপক্রম হল। নিজের ঘরে গিয়ে তিনি ভাবতে লাগলেন, না, আগে রমেনকে বাড়ী থেকে তাড়ান হবে না । আগে শিক্ষা দিতে হবে ছোটবেীকে । রমেনকে বশ করে ওকে দিয়ে অপমান করতে হবে। ডাকলে রমেন ছোট-বৌয়ের কাছে বাবে না, কথা বললে শুনবে না, অবজ্ঞা দেখাবে, অপমান করবে-এই যদি করতে পারেন, তবেই অনুপমার বেঁচে থাকা সার্থক। y") রমেনকে দেখেই সকলের মনে যে একটা দুর্বোধ্য অস্পষ্ট আশঙ্কা জেগেছিল, দেখা গেল সেটা একেবারেই অমূলক নয়। ছেলেটাকে আয়ত্ত করা একরকম অসম্ভব। তাকে স্নেহ করার, খাতির করার, খুলী করার, আঘাত দেওয়ার কোন প্রচলিত পদ্ধতি কারো জানা নেই। নিজে থেকে কাউকে সে এড়িয়ে চলে না, কারো সঙ্গে বেশী খাতির জমানোর চেষ্টা করে না, একজনকে ছোট করে আরেকজনকে বড় করার এতটুকু উৎসাহও তার নেই। বেশী বেশী আদর যত্ন স্নেহ মমতা দিয়ে তাকে বশ করা যেমন অসম্ভব, অবজা করে নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে তাকে কাবু করাও তেমনি অসম্ভব। মমতা আর অবহেলার দাম তার কাছে যেন সমান। কয়েকদিনের মধ্যে তার ব্যাপার দেখে অনুপমা আর মনোরমা দু’জনেরি ধাধা। লেগে গেল। প্ৰাণপণ চেষ্টা করেও তাদের দু'জনের মধ্যে কেউ রমেনের এতটুকু পক্ষপাতিত্ব অর্জন করতে পারলেন না। কিশোর সন্ন্যাসীর মত সে যে একেৰারে নির্বিকার হয়ে থাকে না নয়, ভালবাসা দেখালে শিশুর মত খুসী হয়ে উঠে, কিন্তু গলে পড়ে না। ভালবাসা দেখানোর আগে যেমনটি ছিল পরেও তেমনি থাকে। লেজও নাড়ে না, পাও চাটে না ! প্ৰথমদিন অনুপমা ভেবেছিলেন, মনোরম আগেই ভাব আরম্ভ করেছে তার সঙ্গে তিনি বোধ হয় পাল্লা দিতে পারবেন না। বিকেলে মিষ্টি আনিয়ে লুচি ভেজে রমেনকে খেতে দিলেন। অন্য সকলেই অবশ্য লুচি আর মিষ্টি খেল, কিন্তু তার মিষ্টি কথাগুলি পেল শুধু রমেন। পুলকিত হয়ে অনুপমা লক্ষ্য করলেন, এ বাড়ীতে তাকেই যেন সে আপন মনে করে, তার মেহ আর যত্বই সে যেন চায়, এমনি ভাৰ রমেনের। নতুন পরিচয়ের সঙ্কোচ নেই, পর মনে করা নেই। কি আগ্রহের সঙ্গেই রমেন জিজ্ঞেস করল, “আপনার সেই প্ৰাইজগুলি আছে পিসীমা ? দেখাবেন আমায় ?” কবে সেই অল্প বয়সে সেলায়ের কাজ আর গানের জন্য অনেকগুলি প্ৰাইজ পেয়েছিলেন, বাপের কাছে শুনে সেগুলি দেখবার জন্য রমেন উৎসুক হয়ে আছে! মনটা অনুপমার কেমন করে উঠল। কই, দশ বিশ বছরের মধ্যে কেউ তো কোনদিন জানিবার আগ্ৰহ দেখায়নি। তার এককালে বিশেষ কি গুণ ছিল, কিসের জন্য বাড়ীতে আর পাড়াতে এককালে তিনি সকলের মুখে নিজের ংসা শুনতেন! আজি আড়ালে লোকে তাকে শুটকি মাছ বলে, তার মাথায় নাকি ছিট আছে, সাদা চোখে তাকালে ছেলেপিলে ভস্ম হয়ে যেতে পারে বলে তিনি নাকি চশমা পরে থাকেন । সত্যই D DD DB DB BDD DD BB S BBB S DEB খুজে পেতে পুরানো দিনের প্রাইজগুলি দেখাবার সময় রমেলের চোখতারা বিস্ময় ও শ্রদ্ধা দেখে তো তার মনে হচ্ছে আজও তিনি সেই আগের অনুপমার মতই আছেন, যার হাসিখুসীি তাৰ আর মিষ্টি স্বভাৰে সৰাই মুণ্ড হয়ে বেত,