পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रूि Nà Rà “कि छानि । मCनाश् अाएछ ।” ‘ইস! ডান হাত।” "A কথা বলতে বলতে তিনজনে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে। কত রোগ আঘাত যাতনা মৃত্যু শোক দুঃখ হতাশ ভরা হাসপাতালের এলাকা, হৃদয় ভারি তিন জনেরই। তবু তারা সহজ ভাবেই কথা কয়, জীবন্ত মানুষের যেন জীবনের অকারণ অর্থহীন অভিশাপগুলির জন্য বিচলিত হতে নেই, ব্যাথাও পেতে নেই । রসুল এক রকম কথাই বলছিল না, হঠাৎ থেমে গিয়ে সে শিবনাথকে বলে, "সরমের কথা ভাই, কিন্তু আর পারছি না। অজ্ঞান হয়ে পড়ার আগেই-” ওসমান ও শিবনাথ দু’পাশ থেকে ধরে তাকে ধীরে ধীরে নামিয়ে বসিয়ে দেয়, নিজে বসে ওসমান তার মাথাটা বুকে টেনে এনে নিজের গায়ে তাকে হেলান ÇYİNS88 1 “তুই এক নম্বর আহম্মক রসুল |”— শিবনাথ বলে গায়ের চাদরটা তার গায়ে জড়িয়ে দিতে দিতে । ওসমান বলে, “এরকম আহম্মক কম মেলে । ভেবেছিল কারে হাঙ্গামা না বাডিয়ে কোনমতে বাড়ি পৌছে যাবে। হাবিব বলত, নিজের অসুখ হলে রসুল লজ পায় ।” “তাই তো ছোকড়াকে সবাই এত ভালবাসে ।” রসুল আপসোস করে বলে, “এত রক্ত বেরিয়ে গেছে টের পাইনি। তাহলে কি এক লহমা দেরি করি হাসপাতালে আসতে, নিজেই আসতাম।” রসুল হাসপাতালেই থেকে যায় । ওসমান ও শিবনাথ যখন রাস্তায় নামে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে, জনহীন স্তব্ধতায় রাত্ৰিকে যেন ধরা ছোয়া যেতে পারছে। শিবনাথ চিরকাল বাইরে ধীর শান্ত ছেলে, সহজ ও সাধারণ। কখনো কোন বিষয়ে কেউ তাকে আত্মহারা হতে দ্যাখে নি, যা কিছু ঘটেছে বর্তমানে চােখের । পলকে তার ভবিষ্যৎ অনুমান করে নিয়ে সে যেন তদনুসারেই যা করা উচিত তাই করে যায়—সব রকম সহজ বা কঠিন সামান্য বা গুরুতর কাজ। কোন কাজেই তার পরোয় নেই, সভায় বক্তৃতা করা থেকে চিঠি পৌছে দিয়ে আসার কাজ পৰ্যন্ত— আহত রসুলকে হাসপাতালে পৌঁছে দেবার কাজও। যে কাজ দেওয়া হোক সে করবে। প্ৰাণ দিয়ে, কিন্তু এক রকমের এক ধরনের কাজে তার মন ওঠে না। ওখানে ওই গুরুতর পরিস্থিতিতে সে অনায়াসে নেতৃত্বের দায়িত্ব