পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nტ8 भांनिक यंहांदव्ौ সদ্য সদ্য একটা মানুষ মরেছে সে বাড়ী থেকে দুধ নেওয়া চলে না । কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে সব দেখে শুনে চিন্তামণি চলে যায়। ভাবে, গৌরকে খবরটা দিতে হবে । বুড়ীকে পুড়িয়ে এসে চাদ খন্তা নিয়ে ঘটি উদ্ধার করতে যায়, পুটুর মা ডেকে বলে, “ও কি করছ ?” ‘টাকার ঘটিটা বার করি মেঝে থেকে ?” পুন্টুর মা বলে, “ওখানে ঘটি কই ? ঘািট নেই। ওখানে।” চাঁদ অবাক হয়ে বলে, “কোথায় আছে। তবে ? এইখানে তো পোতা ছিল ঘটি ? পুন্টুর মা বলে, শোন ইদিকে, বলছি সব। ব্যাপার আছে অনেক।” ভূমিকা শুনে মুখ বিবৰ্ণ হয়ে যায় চাঁদের। তীব্র জ্বালাবোধের সঙ্গে সে ভাবে আশা ভঙ্গের কি শেষ নেই তার ? পুন্টুর মা বলে, “ব্যাপারখানা কি জানো, ঘটি থেকে টাকাগুলো ম বার করে নিয়েছিল। বাবুকে বলে পোষ্টাপিসে জমা রেখেছে ওবছর। বলাই ঘোষের ঘর পুড়ে মাটির টাকাগুলো গলে তাল পাকিয়ে গেলো না সেবার, মা তখন ভয় পেয়ে গেল।” ' টাকা। তবে আছে ? চাদ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। “আমায় বলনি কেন ?” “তুমি যদি গোলমাল করা ? কিছু হাঙ্গামার পর চাদ টাকাগুলি পেল-রূপার টাকা নয়, নোট । কাগজের নোট । বিয়ে করা কচি বৌকে নিয়ে সংসার করার অস্পষ্ট সাধটা গৌর মামাবাড়ী থেকে আরও জোরালো করে নিয়ে ফিরে আসে। চিন্তামণির শক্ত বঁধন কেটে নিজেকে সরিয়ে নেবার অস্পষ্ট ইচ্ছাও অনেকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চিন্তামণির সম্পর্ক তুলে দেবার কথা ভেবে মনটা বড় বেশী কেমন করায় তার ভয় বেড়ে যায় । এভাবে জড়িয়ে জড়িয়ে বঁধতে বাধতে চিন্তামণিই হয়তো শেষে তার সমস্ত বুদ্ধি-বিবেচনা লোপ পাইয়ে দেবে, তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। যা থাকে কপালে বলে চোখ কান বুজে বঁাপিয়ে পড়ার মত মনের অবস্থা তার ঘটিয়ে দেবে ਲੁ ।