পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¥းရ রেহাই নেই! রেহাই নেই! ছোটলোক কুলিমজুরের কি আম্পৰ্দ্ধা ! *আচ্ছা, বলোগে আমি আসছি।” রামপাল বেরিয়ে যাওয়া মাত্র উমাপদ পুলিশে ফোন করে দিল। পুলিশ আসতেও সময় লাগে। প্রতীক্ষা করতে করতে সকলের উত্তেজনা বাড়তে থাকে, তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে। মিনিট কুডি পরে রামপাল তাগিদ। দিতে এল । ‘বলোগে আসছি। নুখুর খুব লেগেছে, না ? বলোগে নাথুকে আমি একশো টাকা দেব-ক্ষতিপূরণ দেব। এই হিসাবটা দেখেই আসছি।” এখন এই অবস্থায় উমাপদ হিসাব দেখছে ! খানিক পরেই লৱী বোঝাই পুলিশ এসে কারখানা দখল করে বসল। করাতি ও মিস্ত্রীরা পুলিশের সঙ্গে লড়াই করত না, ক্ষমাপ্রার্থ উমাপদর বদলে হঠাৎ পুলিশের আমদানী হওয়ায় সকলেই অল্প বিস্তুর হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। সময় দিলে করাতি ও মিস্ত্রীরা আপনা থেকেই চলে যেত। তবে জনতা পালাতে আরম্ভ করলেও জনতাকে ছত্ৰভঙ্গ করার কৰ্ত্তব্য রীতিমত পালন করার প্রথা পুলিশ মেনে চলে। গোটা কয়েক মাথা একটু ফাটল, কয়েকজন ঘা কতক মারি ও গুতো খেল ৷ রামপাল মধ্যস্থ, তাই দলে ভেড়েনি। একটু তফাতে একটা কাঠের গুড়িতে বসে বিড়ি টানতে টানতে আপিস ঘরের দিকে তাকিয়ে ছিল, কখন উমাপদ বেরিয়ে আসে। অঙ্গন সাফ হয়ে যাবার পর দেখা গেল সে একা তখনও কাঠের গুড়িটার ওপর বসে আছে। উমাপদ বেরিয়ে এসেছিল । রামপালকে দেখিয়ে সে বলল, “ওই ব্যাটা পালের গোদা, ওই সকলকে ক্ষেপিয়ে আমায় ডাকতে গিয়েছিল। অ্যারেষ্ট করুন ।” অপরাহুে লোকনাথ নিজে গিয়ে রামপালকে ছাড়িয়ে আনলেন এবং পুলিশের হাঙ্গামা চাপা দেবার ব্যবস্থা করে এলেন। কারখানার হাঙ্গামা তিনিই মেটাবেন, সে পৰ্যন্ত কারখানায় পুলিশ পাহারা থাকলেই হবে, আর কিছু দরকার নেই। উমাপদ মামার কাছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কল্পনায় গেথে ব্যাপারটা জানিয়েছিল। কারখানার কৰ্ম্মচারীদের কাছে লোকনাথ আসল ব্যাপারের VO