পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী ভিটামিন সম্পর্কে মন্ত একটা আবিষ্কার করে নোবেল প্ৰাইজ পেয়ে যাব । আমার দেশের কোটি কোটি কঙ্কালের গায়ে এক আউন্স মাংস বাড়ৰে ?” মমতার প্রতিরোধ শুনেও তার বাবা তখন ক্রুদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, “তুমি মমতার মত তর্ক করতে শিখেছি আরিফ ।’ আরিফ মমতার মুখের দিকে তাকিয়ে জবাব দেয় নি। তার দৃষ্টি দেখে মমতার মনে হয়েছিল তার অজান্তে সে ফকির হয়ে গেছে। সাম্রাজ্যের চেয়ে বড় আগামী দিনের এক জ্ঞানের রাজ্য-সম্রাটের চেয়ে বড় জ্ঞানীর গৌরব-ত্যাগ করার ফকিরী নিয়েছে আরিফ । পরে আরিফ তাকে বলেছিল, উনি ভেবেছেন তুমি আমার মাথা বিগড়ে দিয়েছি মমতা ।” মমতা গম্ভীর মুখে বলেছিল, ‘তাকি সত্যি নয় ?” আরিফ একটু থতিমত খেয়ে গিয়েছিল -“বোধ হয়। সত্যি, বোধ হয় সত্যি। হ্যা, সত্যি বৈকি, নিশ্চয় সত্যি ।” তারপর সামলে নিয়ে হেসে বলেছিল, ‘সায়াল্টিষ্ট হয়ে তাই বা বলি কি করে! আমার কোন দোষ নেই-আমার বেলা তুমি শুধু ক্যাটালিটিক এজেণ্টের কাজ করেছে। মাথা তুমি বিগড়ে দিচ্ছি হীরেন বাবুর।” মমতা তখন আরিফের দু’ৰ্কাধে দু’হাত রেখে বলেছিল, “আরিফ । ‘বেগম সাহেব ?” “তোমার একটা বিক্ৰী বদখিত ধারণা আছে। আমি জানি আছে।” “কি ধারণা ?” ‘আমি তোমায় ভালোবাসি কিন্তু তুমি মুসলিম বলে-” 'डांक्लबigन ना ? তা নয়। তোমার ধারণার কথা বলছি। তুমি ভাবছি, তোমায় আমি ভালবাসি। কিন্তু তুমি মুসলিম বলে তোমায় বিয়ে করতে রাজী নই।” “বিয়ে ? বিয়ের কথা কোনদিন বলি নি ।” 'डांझेहड़ा बलछि ।' মেধাবী উচ্চাভিলাষী আরিফের যে কি বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটেছে মমতা সেটা টের পেয়েছে পাটন কনফারেন্সে তার বক্তৃতা শুনে। হীরেন বক্তৃতা দিয়ে বেশ হাততালি পেয়েছিল। মমতা অবাক হয়ে গিয়েছিল যে হীরেন এমন V8