পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*) • R 何预 ঘরে কুঁজোয় জল ছিল, একতলা থেকে মানবের নিজের বয়ে আনা জল। কুঁজে কান্ত করে মানব সিড়িতে জল ঢেলে দেয়। যতক্ষণ সে জল ঢালতে থাকে ইতি কথা বলে না, সবটুকু জল মানব ঢেলে দেয়। কিনা দেখবার জন্যে চুপ করে থাকে। কুঁজে খালি হয়ে গেলে মানবের হাত চেপে ধরে বলে, “সব জল ঢেলে দিলে ? একটু খেতাম আমি, তেষ্টা পেয়েছে।” “এক্তিক্ষণ খাওনি কেন ? ‘এতক্ষণ কি মনেছিলা ? জল দেখে খেয়াল হল ।” মানব একটু হাসে। চল্লিশ বছরের পুরনো মুখখানায় সাতদিনের দাড়িগোপ জমেছে, বঁটা দিকের গালটি কবে যেন চিরে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল। ঘাম মুছে মুছে মাজা বাসনের মত কপাল চিকচিক্‌ করছে। তামাকের ধোয়ায় ঠোঁট দুটি কালো। দাতে আর মুখে বেহিসেবী পান খাওয়ার ইতি-চিহ্ন। শান্ত নির্মল হাসিটুকু তাই আরও অপূর্ব মনে হয়,-ইতির মুখও সলজ হাসিতে ভরে DS BBB BB u TiiTDB S DBBD DB EBDD BDS DDD D DDD গহবরের । মানব বলে, ‘চলো নিচে যাই। তুমি জল খাবে আমি কুঁজোট ভরে নিয়ে আসব।” ইতি বলে, “তোমার তেষ্টা পায়নি ?” মানব বলে, “পাবে পাবে, ভাবিছ কেন ?” ধাপ দুটি ভাসিয়ে কুঁজোর জল ছাদে তিনটি ধারায় ভাগ হয়ে গিয়েছিল, নালীর কাছাকাছি একসঙ্গে মিলে এতক্ষণে নালী দিয়ে নিচে ঝরে পড়তে আরম্ভ করেছে। সমস্ত ছাদে শুকনো শেওলা, আর কয়েকটি দুপুরের রোদ পেলেই আলগা হয়ে উঠে আসবে, আর সন্ধ্যার পর মানবের পায়চারিতে গুড়ো হয়ে যাবে। কুঁজে হাতে এক ধাপ নেমেই বোধ হয় আগামী সন্ধ্যায় নিজের পায়চারি করার দৃশ্যটা কল্পনায় ভেসে ওঠে মানবের, মুখ ফিরিয়ে সে জিজ্ঞাসা করে, ‘সন্ধ্যার সময় আসবে একবার ? ‘না এলে রাগ করবে ?” ‘রাগ ? আর কি তোমার ওপর রাগ করতে পারি ? এবার থেকে অভিমান করব।” “তাহলে আসব না।” «e afiy VetPtop o