পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३ख 6नकड Sግ¢ হয়ত মেরেও ফেলেছে।--তার এমন আতঙ্ক । হাঙ্গামা না থামলে এখান থেকে বেরোবে না, দরকার হলে সারারাত এখানে কাটাবে! পাড়াতে কাছেই ডাঃ দাশের বাড়ি, গলির ভিতরে। নবীন চলে যাওয়ার পর বদ্ধ ঘর ডিসপেনসারীর মধ্যে বসে হিসাবের মোটা খাতাটা খুলে বসে ভাবে, কতক্ষণ আর হাঙ্গামা চলবে ? হাঙ্গামা থেমেছে টের পাওয়ার পরেই বাড়ি यदि । এত কাছে বাড়ি, বেরিয়ে টুকু করে অবশ্য চলে যাওয়া যায় বাড়িতে। কি দরকার রিক্স নিয়ে ? আধঘণ্টাও কাটে কিনা সন্দেহ। ডিসপেনসারীর লাভ লোকসানের হিসাবে মশগুল ডাক্তার দাশ বদ্ধ দরজায় হাত থাবিড়ানির শব্দে চমকে ওঠে । খানিকটা আশ্বস্ত হয় নবীনের গলার আওয়াজে ; ডাক্তারবাবু, দরজাটা খুলুন তাঁ। তবু হাত পা একটু কঁপে ডাক্তার দাশের। হাঙ্গামা এদিকে এগিয়ে এসেছে ? অবস্থা সুবিধা নয় দেখে নবীন ডিসপেনসারীতে আশ্রয়ে ফিরে এসেছে ? নবীন ভয় পেয়ে পালিয়ে এসে থাকলে অবস্থা সাংঘাতিক দাড়িয়েছে বলতে হবে । ছ’জনে ধরাধরি করে বয়ে এনেছে রক্তাক্ত দেহটা ৷ ” বালক জোয়ান ছ’জন-সবাই তারা পাড়ার, সবাই তারা চেন । তারাও অল্পবিস্তর আহত । তিন চার জনের দেহের এখান-ওখান থেকে অল্প অল্প রক্ত চুইয়ে পড়ছে। নবীনের গায়ের শটটা যাবার সময় ছিল ধবধবে সাদা, বঁটা দিকের ঘাড় আর হাতার কাছে রাঙা হয়ে চুপ চুপ করছে। নিজের রক্তে, অথবা যাকে বয়ে এনেছে তার রক্তে কে জানে ! চৌদ্দ বছরের যাকে বয়ে এনেছে পাড়ার ক'জন চেনা বালক আর জোয়ান, তাকে ডাক্তার দাশ সবচেয়ে ভাল করে চেনে । সঙ্গে এসেছে বুড়ো শিবশঙ্কর, সে বলে, তুমি নিজেই ডাক্তার, তাই ভাবলাম তোমার ছেলেটাকে অন্যদের সঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়ে কাজ নেই। বড় বেশী ঘা খেয়েছে, হাসপাতালে যেতে যেতে, বাবুদের নজর পড়লে কি জানি কি হয়। ow-f6tfive e