পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOOkS. in দিব্যারাত্রির কাব্য 巴 s আনন্দ মূহ্যমানোবা মতো তাকিয়ে ছিল। বলল, যাবে না ? কোন যাবে? আমরা তো একদিন মরে যাব। আমরা যদি মানুষ না হতাম, যদি নিজেদের গণ্ডির মধ্যেই প্রত্যেকে নিজেদেব জেল দিতাম তাহলে ভাবতাম, মরে যাব বলে আমাদের জীবন নিরর্থক। কিন্তু যে চেতনা পাকার জন্য আমরা পশুর মতো জীবনের কথা না ভেবে বাঁচি না, নরণের কথা না ভেবে মবি না, সেই চেতনাই আমাদের বলে দেয যে মানুষ মরে, মানবতার মৃত্যু নেই। মানুসের জীবন নিযে মানবতাব অখণ্ড প্রবাহ চলে বলে জীবন ও ব্যৰ্থ নয। তেমনি -- চুপ করে। হেবগণকে তীব্র ধমক দিসে আনন্দ কেঁদে ফেলল। DBDSLB 00 KBEEE SD SgDDD DBB BBBBB LBLB BSBBB BBJ BBSS DBuSDOB তো। কবি নয়। মেয়োবা কখনও কবি হয় না। পৌরুষ ও কবিত্ব একধর্মী। নিখিল মানবতার মধ্যে নিজেকে ছডিয়ে দিয়ে স্তব্ধ হ্রদাযেব একদা বণিত, ধ্বনিব প্রতিধ্বনিকে সে কখনও খুঁজে বেড়াতে পারবে না। জগতে তার দ্বিতীয প্রতিকূপ নেই, সে বৃহতেল অংশ নয় , সে সম্পূর্ণ এবং ক্ষুদ্র। যে বংশপ্রবাহ মানবতাব বৃপ, সে তা বোঝে না। অতীত ভবিষ্যতের ভারে তার জীবন পাডিত নয, সার্থকও নয়। সৃষ্টির অনন্ত সূত্রে সে গ্রস্থির মতো বিগত ও অনাগতকে নিজের জোরে যুক্ত কবে রাখে না। পৃথিবী যেমন মানুষেবা জড় দেতকে দাঙণিােণ নির্ভব দেয়, মানুযেব জীবনকে এবা তেমনি আশ্রয় যোগায়। পৃথিবী জুডে হেলম্বেব আত্মাণ থাক, আনন্দের কেউ নেই। সে একা। অনেকক্ষণ কারও মুখে কথা ছিল না। নিস্তব্ধতা ভংগ করে প্রথম কথা বলার সাহস কবি হত বলা যায় না। এমন সময় হঠাৎ মালতীর তীব্র আর্তনাদ শোনা গেল। হেরম্ব চমকে বলল, ওর্কা ৮ মা বুঝি ডাকিল । বারান্দায় গিযে হেরম্ব বুঝতে পারল, ব্যাপার। যাই ঘটে থাক অনাথেবি ঘবে ঘটেছে। ঘরে ঢুকে সে দেখল, অনাথ অজ্ঞান হয়ে আসনে লুটিয়ে পড়ে আছে, মৃদু ও দ্রত নিশ্বাস পড়ছে, অতিরিক্ত বঞ্জোব চাপে মুখ অসুস্থ, রাঙা। মালতী পাগলের ম৩ে সেই মুখে বলে; চলেছে চুম্বনবৃষ্টি ! তাকে ঠেলা দিযে হেব্বস্ব বলল, শান্ত হন, সরে বসন, কী হল দেখতে দিন । ও মবে গেছে হেরার্থ, আমি ওকে মেবে ফেলেছি। হেবম্বের চিকিৎসা চলল আধঘণ্টা। তিনি কলসি জল খবচা হ’ল মালতীর আউন্সখানেক কারণও কাজে লাগল। তারপর অনাথ চোখ মেলে চাইল । আঃ, কী কর মালতী ! বলে আরও খানিকটা সচেতন হযে অনাথ বিস্মিত দৃষ্টিতে চারিদিকে vg|<श0, 512 | হেরম্ব জিজ্ঞাসা কবল, কী হয়েছিল ? মালতী কপাল চাপড়ে বলল, আমার যেমন পোড়া কপাল! জন্মদিন ব.ে i একটা প্ৰণাম করতে গিয়েছিলাম, কে জানে তাতেই ভড়কে গিয়ে ভিরমি যাবে? অনাথের স্বাভাবিক মৃদুকণ্ঠ আরও ঝিমিয়ে গেছে। সে বলল, আসনে বসলে আমাকে ছুতে তোমায় কতবার বারণ করেছি, মালতী। কঠিন যোগাভ্যাস করেছি, হঠাৎ অপবিত্ৰ স্পর্শ পেলে— মালতী ইতিমধ্যেই খানিকটা সামলেছে। কীসের অপবিত্ৰ স্পর্শ চান করে আসিনি আমি ? এমনি বিদঘুটে স্বভাব জানি বলেই না পুকুরে ডুব দিয়ে এলাম। পুকুরে ডুব দিয়ে এলেই মানুষ যদি পবিত্র হত---