পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br is কর্কশ শুনাইল ; আমার বড় ভয় হইল-বিশেষতঃ তাহার, দস্থ্যর মত ৰিকটি চেহারা দেখিয়া ভয়ে প্ৰাণ উড়িয়া গেল । আমি চীখকার করিয়া কাঁদিয়া উঠিতে চেষ্টা করিলাম—পারিলাম না, বড়ই দুৰ্বল হইয়া পড়িয়াছিলাম, কাঁদিতে গিয়া বুকে বড় ব্যাথা লাগিল , কাঁদিতে পারিলাম না। তখন কেশবচন্দ্ৰ তাড়াতাড়ি আসিয়া আমার নাকের কাছে একখানা রুমাল চাপিয়া ধরিল, মাথায় যেন একটা বীজ আসিয়া পড়িল ; আবার আমি অজ্ঞান হইলাম। তাহার পর আবার যখন জ্ঞান হইল, তখন দেখিলাম, সে গঙ্গা নাই, সে বন নাই, নৌকা নাই, দাড়ী মাঝি কেহ নাই। আমি একটা নিবিড় বনের মাঝখানে দুৰ্গন্ধ, আবর্জনাপূর্ণ একটা ঘরে একাকী পড়িয়া আছি। ঘরটি বাহির হইতে বন্ধ ; বাহির হইবার আর কোন উপায় নাই। তাহার পর কেশবচন্দ্ৰ প্ৰত্যহ এক এক বার আসিয়া আমার সঙ্গে দেখা করিতে, ফ্লাগিল । আমাকে বিবাহ করিবার জন্য যে, সে এই কাজ করিয়াছে, একদিন সে প্রকাশ করিল ; আমি কিছুতেই সে পাপিষ্ঠের কথায় স্বীকৃত হইতে পারিলাম না । সেজন্য আমাকে পিশাচ कङ उच्च দেখাইত, কখনও বা ছুরি লইয়া কাটিতে আসিত—আমি কিছুতেই ভ্ৰক্ষেপ করিলাম না-কিছুতেই সন্মত হইলাম না। তেমন পাৰ্পিষ্ঠের স্ত্রী হইয়া আজন্ম মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করা অপেক্ষা, তাহার শাণিত ছুরির "মুহুর্তের মৃত্যু শ্রেয় বোধ করিলাম। গোরাচাদের উপর আমার রক্ষার ভার ছিল, সে সেই নিরপ্রেতের বিশ্বন্ত অনুচর। } শেষে একটা স্ত্রীলোক আমাকে উদ্ধার করে। শুনিলাম, সে কেশবচন্দ্রের স্ত্রী ; সেই আমাবে। এখানে আসিবার পথ দেখাইয়া দেয়। একটা ৰূড় প্রান্তর পার হইয়া,আমি এই গ্রামে আসি, তখন ভয়ানক ঝড়বৃষ্টি হইতে ছিল। এখানকার গোঁসাই পাড়ায় আমাদিগের ७झ बछनiथ ciश्वभौद्र