পাতা:মায়া-কানন.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়াকানন । به বসন্ত কাল। আর দেখ, আজ পূর্ণ চন্দ্রালোকে আকাশ, পৃথিবী সকলই যেন ধৌত হয়েছে। আরো দেখ, এ উদ্যানে কত প্রকার স্বরভি কুস্থম প্রস্ফটিত হয়েছে। আর শুনেছি, তোমার এরূপ সুমধুর কণ্ঠ যে, আকাশে থেচর, আর ভূতলে ভূচর,—তোমার সংগীতধ্বনি শুনলে, সকলেই স্বকৰ্ম্ম বিস্মৃত হয়ে, একতান মনে সেই সংগীত শুনতে থাকে। তা প্রিয়সখি ! এ সুখে কি আমাদের বঞ্চিত করবে ? এই আমার বীণাটী গ্রহণ করে,—একটা গীত গাও। ইন্দু —সখি ! স্থকণ্ঠই বলে, আর কুকণ্ঠই বলে, তা সে সকল এখন আর নাই । এখন দুঃখের হলাহলে এক প্রকার নীলকণ্ঠ —জর্জরীভূত হয়ে রয়েছি । তা তোমার সমান প্রিয়তমাকে অসন্তুষ্ট করা কর্তব্য নয়; দাও, তোমার বীণা দাও । ( বীণা গ্রহণপুৰ্ব্বক গীত ) শশি ।—আহা ! কি সুমধুর সংগীত ! ( অরুন্ধতীর প্রতি) ভগবতি । আপনি কি বলেন ? অরু —ত্ৰিদশালয়ে এই রূপ সংগীত হয়। শশি।—(ইন্দুমতীর প্রতি) প্রিয়সখি ! এরূপ মধুকোকিলাকে এ রাজপুরীর উদ্যানে কি প্রকারে চিরকাল আবদ্ধ করে রাখতে পারি, তার কোন উপায় তুমি বলতে পারো ? ইন্দু –লখি –তুমি দেখচি এক জন মন্দ ঘটক নও। তার পরে কি বল দেখি ?