নির্দ্দয় নিশাচর নিকর সমবেত হ’য়ে প্রেয়সীর সুকোমল শরীর শতধা বিদীর্ণ ক’রে ফেলেছে। - লক্ষ্মন। আর আমি অযোধ্যায় প্রতি গমন ক’র্ব্বো না। তুমি জননীদের ব’লো, সীতা বিরহে রাম জীবনশূন্য হ’য়েছে। বৎস! দেখো, আমার শোকাকুলা পুত্রবৎসল কৌশল্যা মাতা যেন আমার অভাবে কোনো ক্লেশ না পান্। ভ্রাতৃবর ভরতেরে ব’লো, বৈদেহী-বিরহে রামের দেহাবসান হ’য়েছে। কুলগুরু বশিষ্ঠদেবের চরণে আমার অসংখ্য প্রণতি জানা’য়ে ব’লো, সীতাহারা হ’যে রামের প্রাণ দেহ-ধাম ত্যাগ ক’রেছে। পৌরজন ও প্রজাবর্গেরে ব’লো, সীতাশোকে অভাগা রামের প্রাণপতন হ’য়েছে।
লক্ষ্মন। (সবিষাদে)। হা ধিক্! অগ্রজের মুখে ঈদৃশ উক্তি শ্রবণের জন্যই কি আমি অরণ্যচারী হ’য়েছি?— হা দুঃশীলে কৈকেয়ি! এসে দর্শন কর, তোমার বিদ্বেষ-বৃক্ষে কি ফল ফ’লেছে!!-হা মাতঃ কৌশল্যে! তোমার প্রাণাধিকা বধু অপহৃতা হ’য়েছেন।—হা আর্য্যে জনকনন্দিনি! তোমার বিরহ-বেদনায় ব্যথিত হ’য়ে, আর্য্য, আকুলিত