পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
মায়া-মৃগ।

শরীর অভূতপূর্ব্ব আনন্দ-রাসে আপ্লুত হয়; ইন্দ্রিয়গণ আপনা হ’তেই অবশ হ’য়ে স্ব স্ব কার্য্য পরিত্যাগ ८॥

 লক্ষণ। (সবিষাদে) হা সুপবিত্রে অযোধ্যানগরি! তুমি এখন বিধবা হ’য়ে দস্যু ভরতের হস্তগত হ’য়েছি!!! যখন ধার্ম্মিক-শ্রেষ্ঠ আর্য্য রাম{ চন্দ্র তোমাকে পরিত্যাগ ক’রেছেন, তখন আর তুমি সেই পুণ্যপুরী নাও; শ্মশান অপেক্ষাও অশুচি হ’য়েছ।—হা মাতঃ বসুন্ধারে। এখনি দ্বিধা হ’য়ে, ভরত ও সকৈকেয়ী অযোধ্যাকে গ্রাস কর;রামত্যক্ত অযোধ্যা আর দর্শনীয় নয়।

 রাম। ভ্রাতঃ লক্ষণ! তুমি এরূপ বাক্য কেন প্রয়োগ ক’চ্ছ? ভারত অতি ধার্ম্মিক, তা’র निন্দা ক'রো না।

 লক্ষণ। (উগ্রভাবে) তিনি যখন এখনো সেই পিশাচী কৈকেয়ী মাতার দণ্ড বিধান করেন নাই, তখন তিনি আর ধার্ম্মিক-পদবাচ্য ন’ন্‌।— পিশাচী-গর্ভজাত কি কখনো ধর্ম্মাত্মা হ’য়ে থাকে? সর্পিণী-অণ্ডে কি কখনো ময়ুর-শাবক জন্মায়? শার্দূলী গর্ভে কি কখনো হরিণ-শিশু জন্মগ্রহণ