পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R o অন্তিম প্রার্থনা তোর কি হয়েছে। অমন করছিস কেন ? কথা বোলতে পারছিল। •ा ८कन्न ?” সুলোচনার তখন জ্ঞান হইল । তিনি দেখিলেন রায়-বাড়ীর মেয়েরা সকলে আসিয়াছেন । তিনি রায়-গিন্নীকে তাহার কাছে বসিবার জন্য হাত নাড়িয়া ইঙ্গিত করিলেন । রায়-গিল্পী তখন সুলোচনার কাছে বসিলেন । সুলোচনা কি বলিবার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন, কিন্তু তাহার কণ্ঠরোধ হইয়া গিয়াছে। এই অবস্থা দেখিয়া রায়-গিনী বলিলেন “ওরে, তোরা একজন শীগিগর যা, হরিশকে ডেকে নিয়ে আয় । মণি, কৰ্ত্তাকে খবর দে । তারা, তুই দৌড়ে আমাদের বাড়ী এথকে একটু গঙ্গাজল নিয়ে আয় ত। মুখে একটু গঙ্গাজল দিই।” মোহিনী বলিল “ঘরেই গঙ্গাজল আছে।” এই বলিয়া সে ঘরের মধ্য হইতে গঙ্গাজলের ঘটী বাহির করিয়া দিল । রায়-গিনী বলিলেন “গঙ্গাজল, একটু খা।” সুলোচনা অতি কষ্টে গঙ্গাজল খাইলেন। তাহার পর তাহার শরীর যেন একটু ভাল বোধ হইল, র্তাহার কথা বলিবার শক্তি ফিরিয়া আসিল । তখন তিনি মোহিনীকে নিকটে ডাকিলেন । মোহিনী তাহার কোলের কাছে বসিয়া কাদিতে লাগিল । সুলোচনা বলিলেন “কঁাদিসনে মা, কঁাদিসনে। আমার দিন ফুরিয়ে এসেচে, আমি তঁর কাছে যাচ্ছি। তঁাকে, ছেড়ে আমি থাকতে পারলাম না৷ ” এই বলিয়াই আবার চুপ করিলেন। রায়-গিয়ী তখন সুলোচনার মুখে আর একটু গঙ্গাজল দিয়া বলিলেন ‘ও কি কথা বেী ! তোর কি হয়েছে। অমন করছিস কেন ? মেয়েটা কেঁদে খুন হলো যে ”