পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসগ Փ6: দশজনেও ঐ কথা বলে ; তাই তিনি স্বামীকে কথাটা স্মরণ করাইয়া দিতেন । লয়লা যখন ১৪ বৎসৱে পড়িল, তখন মৌলবী সাহেবের আত্মীয়স্বজন সকলেই মেয়ের বিবাহ দিবার জন্য তঁহাকে তাগাদা করিতে লাগিলেন। মৌলবী সাহেবের শ্বশুর-মহাশয় তখনও বাচিয়া ছিলেন। তিনি এই ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী হইলেন ; কারণ তিনি তঁাহার জামাতাকে নিতান্ত না-লায়েক, অপদাৰ্থ, বিষয়-বুদ্ধিহীন স্থির করিয়া বাখিযাছিলেন। যিনি ইচ্ছা কবিলে এতদিনে বড় একটা ডিপুটী হাকিম হইতে পাবিতেন, একটা খাঁ-বাহাদুর খেতাব পাইতে পারিতেন, বাড়াতে কোঠ-বালাখানা করিতে পারিতেন, দাস-দাসীতে গৃহ পরিপূর্ণ করিতে পাবিতেন, তিনি কি না পাড়াগায়ে ছেলে ঠেঙ্গাইয়াই জীবনপাত করি।-- লেন, বাড়ীতে একখানি ইটও বসাইতে পারিলেন না ; নিতান্ত গরিবেবী মতই রহিলেন ; দশজনে চিনিলও না, মানিলেও না । এমন লোক কি পুরুষ বাচ্চা ! শ্বশুর জামাইকে মানুষের মধ্যেই গণ্য করিতেন DDDSS SDDBDBB DBBBDBS BBBDD BBBD DDD SD BS SLDDZ হাতে যে টাকাকড়ি বিশেষ নাই, তাহাও তিনি জানিতেন । আশি টাকা বেতন ; তাহার মধ্যে হইতে ছেলেকে মাসে দশ পািনর টাকা পাঠাইতে হয়। আর যাহা থাকে, তাহাতে সংসার-খরচই চলিবে, না। মাসে-মাসে কেতাব কেনাই হইবে । মৌলবী সাহেব স্ত্রী বা কন্যায় গায়ে একখানি অলঙ্কারও দেন নাই ; কেহ সে কথা বলিলে তঁাহার পুস্তকরাশি দেখাইয়া বলিতেন-“এদের চাইতে সেরা জহরৎ নবাব সাহেবের তোষাখানাতেও নেই।” এ হেন বিষয়-বুদ্ধিহীন, না-লায়েক জামাইয়ের উপর কি আর নির্ভর