পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9)።” উৎসর্গ রাখতে গেলে, অনেক মিঞাকেই ধার-কার্জ করতে হয়। বিশেষ ছেলে লেখাপড়া শিখেছে, তারপর একটু সাহেবী কায়দা আছে ; ইয়ার-দোস্ত আছে, খরচপত্র একটু বেশী হয়ই তাঁ।” মৌলবী সাহেব বলিলেন “আচ্ছা, দেখি বিবেচনা করে।” আত্মীয় বলিলেন “আমন ছেলে কি বসে থাকে ; কত বড় বড় যায়গা থেকে কথাবাৰ্ত্তা আসছে। তুমি আর সময় নষ্ট কোরো না, এইটেই ঠিক করে ফেলি।” মৌলবী সাহেব বলিলেন “আর কয়দিন পরেই আলি বাড়ী আসছে। সে এলেই সব ঠিক করা যাবে।” কয়েকদিন পরে আমি ও আলি আই এ পরীক্ষা দিয়া বাড়ী আসিলাম। যে দিন বাড়ীতে পৌছিলাম, সেই দিনই অপরাহুকালে মৌলবী সাহেবের বাড়ী গেলাম । কুশল জিজ্ঞাসাদির পর আমি বলিলাম “লয়লার বিবাহের কিছু ঠিক কঙ্কতে পারলেন কি ?” মৌলবী সাহেব বিষgমুখে বলিলেন “কিছুই ত ঠিক করতে পারি নাই ; পাঁচ-ছয়টা ছেলের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে ; কিন্তু কোনটাই পছন্দ হচ্চে না ।” আমি বলিলাম “আমি একটী ছেলের সন্ধান দিতে পারি। সে এবার বি-এ পরীক্ষা দেবে । ছেলে খুব ভাল, পাশ হবেই। আলির সঙ্গেও তার জানাশুনা আছে । রামচন্দ্ৰপুরের আজিম খন্দকারের ছেলে। আমি একদিন তার কাছে কথাটা তুলেছিলাম ; লয়লার লেখাপড়া ও গুণের কথা শুনে সে স্বীকার করেছে। কিন্তু, তার বাপের অমতে তা সে বিবাহ করতে পারবে না ।”