পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসগ 8S “সাহেব, আমার পিতার কথা একবারও ভাবিলেন না ! তিনি কি ইচ্ছা করিলে ডেপুটী কি-মুনসেফ হইতে পারিতেন না ? কিন্তু তাহা তিনি হন নাই। তিনি সাধারণ মানুষের মত নহেন। দেশের ছেলেদের জ্ঞানে ধৰ্ম্মে বিভূষিত করিবার জন্য এমন মহান স্বাৰ্থত্যাগের কি কোন মাহাত্ম্যই নাই ? সুধু ধন-জন, সুধু পদ-প্রসার! আমার পিতার মত দেব-হৃদয় কার আছে?” কিন্তু যুবক আলি এই বৃদ্ধ খন্দকার সাহেবের সম্মুখে এ সব কথা বলিতে পারিল না ; তাহার পিতার BD BDDD BBD LD KD DDBSY SDBDBBB BBKD DBDB छgन्म । তাহাকে নীরব দেখিয়া খন্দকার সাহেব বলিলেন “বাবা, মনে কিছু কোরো না । আমার যা অভিপ্ৰায, তা তোমাকে স্পষ্ট করিয়া বলিলাম । তোমার পিতার প্রতি আমি অশ্রদ্ধা প্ৰকাশ করিতেছি না ; কিন্তু আমি অামার সন্তানগণের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য খোদাতালার কাছে দায়ী । তোমার ভগিনীর ভাল সম্বন্ধই হইবে, খোদার কাছে এই প্ৰাৰ্থনা করি।” আলি আর কি করিবে ; সে-রাত্রি সেখানেই থাকিয়া পরদিন এই সুদীর্ঘ পথ হাটিয়া বাড়ী চলিয়া আসিল । পথে আসিতে-আসিতে কেবলই তাহার মনে হইতে লাগিল, হায় আল্লা, আমার পিতাকে কোহ চিনিল না ! এ দুনিয়ায় কি প্রকৃত সদগুণের আদর হইবে না । আমার সব্বগুণ-সম্পন্না ভগিনীর কদর কি কেহই বুঝিবে না। বাড়াতে আসিয়া আলি সমস্ত কথা তাহার পিতাকে বলিল; আমিও তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। মৌলবী সাহেব আলির বিবাদমাখা কথা শুনিয়া ও তাহার মালিন মুখ দেখিয়া ক্ষণকালের জন্য যেন কাতর হইয়া পড়িলেন। তাহার পরই তাহার মোহ কাটিয়া গেল। তঁহায়