পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন্যায়বাগীশের মন্ত্রদান 8ዓ হইয়া পড়িলেন। তঁহার শাস্ত্রালোচনার আগ্ৰহ ক্ৰমে কমিতে লাগিল ; পুৰ্ব্বে যে প্রকার উৎসাহ ও একাগ্রতার সহিত ছাত্ৰগণকে পাঠ দিতেন, গভীর তত্ত্বের আলোচনা করিতেন, তাহা ক্ৰমে কমিয়া যাইতে লাগিল । এখন টোলগুহে তিনি ছেলেকে কোলে লইয়া উপবিষ্ট হইতেন ; ছেলে হয় তা ন্যায়দর্শন পুথির পাতার উপর কোমল পদদ্বয় স্থাপন করিত, কখন বা ছাত্রদিগের পাঠের নানা বিস্ত্ৰ জন্মাইত ; ন্যায়বাগীশ সহস্য বদনে বালকের খেলা দেখিতেন। রামপ্রসাদের সামান্য একটু অযত্ন হইবার যো ছিল না ; রামপ্রসাদ একটু কঁদিলেই ন্যায়বাগীশ ব্যন্ত হইয়া বাডীর মধ্যে ধাবিত হইতেন এবং ছেলের কান্না নিবারণের জন্য নানা উপায় অবলম্বন করিতেন । এত আদরে যাহা হইয়া থাকে, তাহাই হইল । রামপ্ৰসাদ যখন দশম বর্ষে পদার্পণ করিল, তখনও তাহার লেখাপড়া মোটেই অগ্রসর হইল। না । সেই যে যথারীতি বিদ্যারম্ভ হইয়াছিল, সেই পৰ্য্যন্তই। পণ্ডিতগৃহিণী মধ্যে মধ্যে স্বামীকে এ কথা বলিতেন ; ছেলে যে তাহার আদরে নষ্ট হইয়া যাইতেছে, এ কথাও তিনি স্বামীকে জানাইতেন ; কিন্তু ন্যায়বাগীশ এ সকল কথায় মোটেই কাণ দিতেন না ; বলিতেন, “আহা ছেলেমানুষ, একটু আবদার করবে না !! আর দেখা গিল্পী, ঐ ষে চাঞ্চল্য দেখােচ, ওটা তেজীয়ান পুরুষের পূর্বাভাস। রামপ্রসাদ কালে যে খুব তেজস্বী হবে, এ তারই লক্ষণ। এর জন্য তুমি ব্যস্ত হোয়ো না । আমি ওর কোষ্ঠী গণনা করে দেখেছি, ও কালে একটা মানুষের মত মানুষ হবে । জ্যোতিষশাস্ত্র কখন মিথ্যা বলে না । পড়াশুনায় কথা বলছি--তার জন্য ভেব না। হোক না বয়স দশ বৎসর। কার ঔরসে ওর জন্ম, সেটা প্ৰণিধান করছ না গিয়ী। আর সকল ছাত্র দশবৎসরে