পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাযশচত্ত ۹۶ সুধু নিজের উপরই তাহার ধিকার জন্মিতে লাগিল । আর মনে হইতে লাগিল তাহার সেই স্নেহময়ী, সাক্ষাৎ দেবীরূপিণী জননীর কথা । আজ তাহার মা বাচিয়া থাকিলে, তাহার কাছে সে মনের বেদনা জানাইতে পারিত। এখন তাহার একমাত্র পরামর্শদাতা বৃদ্ধ ভূত্য কালিদাস-তাহার পরম সুহৃদ কালিদা ! প্ৰাতঃকালে উঠিয়া অক্ষয়ের গৃহে মন টিকিল না। ইতিপূৰ্ব্বে বাড়ী আসিয়া সে প্রায়হ গ্রামের কোথাও যাইত না। আজ তাহার কাছে বাড়ীতে বসিয়া থাকা ভাল লাগিল না ; সে রাস্তীয় বাহির হইল। অল্পদুর যাওয়ার পর সে দেখিল যে, অলক্ষিত ভাবে সে পীতাম্বর ভট্টাচার্য্যেব বাড়ীর সম্মুখেই আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তখন পূজার ফুল তুলিবার জন্য সাজি-হস্তে বহির্বাটীর প্রাঙ্গপে দাড়াইয়া ছিলেন। অক্ষয় তাড়াতাড়ি বাড়ীর সম্মুখ হইতে চলিয়া যাইবার চেষ্টা করিল ; কিন্তু সে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের দৃষ্টি অতিক্রম করিতে পারিল না । তিনি বলিয়া উঠিলেন “এই যে অক্ষয়, কবে বাড়ী এলে বাবা ? শরীর ভাল আছে তা ?” অক্ষয় তখন কি করে, ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের প্রাঙ্গণে উপস্থিত হইয়া র্তাহার পদধূলি গ্ৰহণ করিয়া বলিল “আজ্ঞে কা’ল এসেছি।” “হঠাৎ কি মনে করে বাড়ী এলে বাবা ?” অক্ষয় বলিল “এমনি দুই-এক দিন ঘুরে যাবার জন্য এসেছি। রবি বারেই আবার কালকাতায় ফিরে যাব ।” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় একটু চুপ করিয়া থাকিয়া একটা দীর্ঘ-নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন “বাবা অক্ষয়, তোমার সঙ্গে—” কথাটা অৰ্দ্ধপথেই