পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎգՀR নবীনের স্ত্রী গোলমাল শুনিয়াই বাহিরে আসিয়াছিল ; নবীন যখন এত বড় একটা দিব্বি গালিতে গেল, তখন সে বলিল “আরে, কর কি ? আমন দিব্বি কি করতে আছে ? তোমার কি বুদ্ধিশুদ্ধি উড়ে গেল ! কিশোর দৃপ্তসিংহের ন্যায় গর্জন করিয়া বলিয়া উঠিল, “বেশ, শুভাই হবে, আমি যদি নবীন ঘোষের ব্যাট হই, তাহ’লে মোট বয়েই খাবো, গফলার ব্যবসা আর করব না। গয়লার ভাত আর থাবো না।” এই বলিয়া কিশোর বাড়ী হইতে বাহির হইয়া গেল । ( NR ) কতজন কত সাধিল, গ্রামের গোপীবৃন্দ মজলিস করিয়া কিশোৱকে কত অনুরোধ করিল, মাতা কত কঁাদিল ; অবশেষে পিতা নবীন ঘোষণ্ড বলিল, ‘ওরে ব্যাটা, রাগের মাথায় একটা কথা বলে ফেলেছি, আয় তুই একমাত্র ছেলে, তুই সেই কথাটাই ধরে বসলি। বাবা আমায়, রাগ করিসনে, আমার কথা আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি। ভুই ঘরে ফিরে আয় এমন ক’রে পথে-পথে বেড়ান কি ভাল।” কিশোর কিন্তু কোন কথাতেই গলিল না, তাহার সেই একই কথা --বাপের আজ্ঞা সে কিছুতেই লঙ্ঘন করিতে পরিবে না-বাপের शिक्ति कि डाब्र (कब्र । তাহার মা একদিন পথের মধ্যে তাহাকে ধরিয়া কঁাদিতে লাগিল, হাত চাপিয়া ধরিল ; কিন্তু কিশোরের মন কিছুতেই নরম হইল না ; সে বলিল, “নবীন ঘোষের ব্যাটার যে কথা, সেই কাজ। এ জন্মে আমি মোট বয়েই খাব । বাপের কথা রক্ষা করে রামচন্দ্ৰ বনে গিয়েছিলেন, আর আমি মোট বয়ে দুটাে পেটের ভাত জোটাতে পারব न ?”