পাতা:মায়ের নাম - জলধর সেন.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

God ws) 43.8 কিশোর বলিল, “ওগো, বুঝতে পারছি না, আজ এবং বোঝা নামিয়েছে ; বেলা বারটাব সময় এবং বোঝা বিসর্জন দেবে, তোমরা नवांछ्रे ५éधन ८* !” সকলেই মনে করিল, কিশোর তামাসা করিতেছে ; দুই একজন সে কথা বলিল। কিশোর বলিল, “তামাসা নয়। ভাই, তামাসা নয়, এবং আজ তার সব বোঝা ঘুচিয়ে দিয়ে চ’লে যাবে; আর কি সে বোঝা বয় । তার যে ডাক পড়েছে।” কেহই কিন্তু কথাটা বিশ্বাস করিল না । এদিকে কিশোর পুবোহত মহাশয়ের বাড়ীতে যাইয়া তাহাকে বলিল, “ঠাকুর, আজ দুপুব বেলা আপনাকে একবার খালের ধারে যেতে হবে ।” পুরোহিত মহাশয় বলিলেন, “গুপুর বেলা খালের ধারে কেন किभाब्र ?” কিশোর বলিল, “একবার পায়ের ধূলো দিতে হবে ঠাকুর । এবং আজ বোঝা নামাবে।” পুরোহিত মহাশয় বলিলেন, “তোমার কথা ত কিছুই বুঝতে পারলাম না কিশোর।” কিশোর বলিল, “সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন ঠাকুর-মশাই ।” এই বলিয়া কিশোর সেই স্থানেই বসিয়া পড়িল এবং অনুচ্চস্বরে কি বলিতে লাগিল । পুরোহিত-মহাশয় কিশোরের এ ভাব জানিতেন ; সুতরাং তিনি কাৰ্য্যান্তবে চলিয়া গেলেন। বারটা বাজিবার কিঞ্চিৎ পূর্বেই কিশোরের ধ্যান ভঙ্গ হইল। সে তাড়াতাড়ি উঠিয়া পুরোহিত মহাশয়ের বাড়ীর মধ্যে যাইয়া ডাকিল, “ঠাকুর মশাই, আসুন ; বেলা যে হয়ে এল।”