পাতা:মালতী-মাধব.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অঙ্ক । ゞ t কোন অবিশ্বাসের কৰ্ম্ম করিখছি, তাই ও সব কথা বলিতেছ? এখন তুমি ও লবঙ্গে কাই আমার জীবন, যাছা বলিবার বল। বুদ্ধরক্ষিত বলিল, যদি মকরন্দ আবার কোনরূপে নেত্রপথে পতিত হয়, তবে তুমি কি কর ? তিনি বলিলেন, তবে তাহার এক এক অবয়বে, লোচনকে চিরনিশ্চল রাগিয়া সুশীতল করি । সে পুনরায় জিজ্ঞামিল, যদি আবার সেই পুরুষোত্তমও কুসুমশরপ্রেরিত হইয়া, কন্দপজননী রুক্মিণীর ন্যায়, তোমাকে, স্বয়ং গ্রহণ পূর্বক সহধৰ্ম্মচারিণী করেন, তাহা হইলেই বা কি হয় ? তখন দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক কছিলেন, কেন আর আমাকে অলীক আশ্বাস দিয়া প্রতারিত কর ? তখন লবঙ্গিক কছিল, • আর বলিতে হইবে না। দীর্ঘ নিঃশ্বাসই মনোরথের পরিচয় দিয়াছে। মদয়ন্তিক। বলিলেন, সখি ! যখন তিনি প্রাণপণ করিয়া দুষ্ট শার্দুলের কবল হইতে ইহ রক্ষণ করিয়াছেন, তখন আমি এ দেহের কে ? এ তাঁহারই । লবঙ্গিক শুনিয়া “এ কথা মহানুভাবের অনুরূপ" এই বলিয়া প্রশংসা করিতে লাগিলেন। বুদ্ধরক্ষিত। বলিলেন, যেন ইছা মনে থাকে। এইরূপ কথোপকথনে রাত্রি দুই প্রহর হইল। প্রহর বিচ্ছেদ সূচক বাদ্যস্থনি শুনিয়া মদয়ন্তিকা বলিলেন, আমি যাই। গিয়া ভ্রাতাকে দু কথা বলিয়াই হউক, বা পায়ে পড়িয়াই হউক, মালতীর উপরি তনুকুল করি । এই বলিয়া যেমন গাত্ৰোৰ্থন করিবেন,