মালতীমাধব । ど〉 বিকল কারুণ্যরসে আদ্র বিস্ময়ে ক্ষুভিত, ক্রোধে প্রজ্বলিত ও আনন্দে বিকশিত হইয়। কেমনই তানির্বচনীয় ভােব ধারণ করিতেছে। অঘোর ঘণ্ট কছিল, তারে ব্রাহ্মণডিম্ব মৃগীকে ব্যাস্ত্রের মুখে পতিত দেখিয়া মৃগও করুণাবিষ্ট হইয়া রক্ষার্থ তাহার গোচরে পতিত ও নিহিত হয়, তদ্রুপ তুইও আজি আমার গোচরে পড়িয়া ছিস্ ! আমি হিংসারুচি ও প্রাণিছন্ত ; ভাল তায়, আগে তোর খড়গচ্ছিন্ন রুধিরত্রাবী শরীর দ্বার। জগজ্জন নীর অর্চনা করি ; পশ্চাৎ ইহাকে বলি প্রদান করিব । মাধব উত্তর দিলেন, তারে দুরাত্মন পাষও চণ্ডাল বিচার করিয়া দেখু ইহাকে নিহত করিয়া সংসার সারশূন্ত, ত্ৰিভুবন রত্নশূন্য, ত্ৰিলোক আলোকশূন্য, বন্ধুজন জীবনশূন্য, বন্দৰ্প দপশূন্য, লোকের নয়ননির্মাণ ফলশূন্য এবং জগৎ জীর্ণ অরণ্য করিতে উদ্যত হইতেছিল। তারে পাপ । পরীহসেসময়ে প্রিয়সগীগণের ললিত শিরীষ-কুসুম-প্রহারেও যে শরীর ব্যথিত হয়, তুই তাহতেই কঠোর অস্ত্র নিক্ষেপ করিতে উদ্যত । অতএব যমদণ্ডের ন্যায় তামার এই ভূজদও তোর মস্তকে পড়ক, রক্ষ কর । অঘোর ঘণ্ট বলিল, তায় দুরত্ম মার, এই বলিয়া বদ্ধপরিকর হইল । মালতী সাবধান করত বলিলেন, নাথ সাহসিক ! ক্ষম। কর, ও হতভাগা অতি দুরাচর ; এ অনর্থকর ব্যাপার হইতে নিরক্ত হও । কপালকুণ্ডলাও বলিল, ভগবন ওরে । সাবধান হুইয়া দুরাত্মাকে নিপাত কর । তখন মাধব মালতীকে ও অঘেরঘণ্ট কপালকুণ্ডলাকে তাশ্বাস
