পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\SoSSR [ ১ম বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা । SLALA ALLLLL LLLLLL LAS LLLLALALLLL LLL LLL LLLL LL LLL LLLL LL LLLLLL LLLLLLLLS AAALLL AALLLLL AALL LLLLL LL LLL LLL LLL LLL LLL LLL LLL LLLL LSL LLLLL SLLLLLLLL LL LLL LLLLLL মঙ্গল-সাধন এবং স্বদেশ ও স্বজাতির গৌরব রক্ষার্থে, পাচ বৎসর পূর্বে সিরাজউদ্দৌলা তাহারই স্বদেশীয়গণের নিৰ্ম্মম বিশ্বাসঘাতকতায় প্ৰাণত্যাগ করিয়াছিলেন। বীর-হৃদয় মীর কাসেমও জন্মভূমির স্বাধীনতা ও প্ৰজারীক্ষার জন্য আত্ম-বিসর্জনে প্ৰস্তুত হইলেন। মীর কাসেমের সুশিক্ষিত অশ্বারোহী সেনাদলের নায়ক মোহাম্মদ তকী খ্যা বাহাদুর নবাবের আদেশে মুর্শিদাবাদ রক্ষার্থে প্রেরিত হইয়াছিলেন। অজয় নদের তীরে নবাবসেনার সহিত ইংরেজ-সেনার প্রথম শক্তি পরীক্ষার পর মহাবীর তকি খা দ্রুতপদে কাটোয়ার রণক্ষেত্রে উপনীত হইলেন । বাঙ্গলার ইতিহাস হিংসা-বিদ্বেষ ও বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস । অসংখ্য স্বদেশদ্রোহী, অকৃতজ্ঞ ও বিশ্বাস-ঘাতকের ইতিবৃত্ত বক্ষে ধারণা করিয়া বাঙ্গলার ইতিহাস কলঙ্কিত। সে-ইতিহাস লিখিতে ঘুণীয় লেখনী সঙ্কুচিত হইয়া আসে। তকী খ্যা যখন ইংরাজিদিগকে বাধা-দানে প্ৰস্তুত হইতে লাগিলেন, তখন তাহার সেনানায়কগণ তকি খার পদ-গৌরব ও তঁহার দেশব্যাপী যশোলাভে ঈর্ষান্বিত হইয়া একযোগে যুদ্ধ করিতে অসম্মত হইল । নবাব মীর কাসেমের অন্নে, অর্থে ও অনুগ্ৰহে যাহারা সেনাপতির পদে অধিষ্ঠিত হইয়া দেশবাসীর সম্মানের পাত্র বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিল—যাহাঁদের রণ-কৌশল ও প্ৰভুভক্তির উপর নির্ভর করিয়া মীর কাসেম ইংরাজ-বিতাড়নে অগ্রসর হইয়াছিলেন, হিংসা ও বিদ্বেষের বশবৰ্ত্তী হইয়া, বাঙ্গলা-বিহার ও উড়িস্যার সেই মহা বিপদের দিনে এইরূপে তাহারা তঁহার কৃতজ্ঞতার ঋণ পরিশোধ করিতে, প্ৰভুভক্তি ও স্বদেশ-প্রেমের পরাকাষ্ঠী প্ৰদৰ্শন করিতে উদ্যত হইল! সেনাপতিগণের অচিন্তিতপূর্ব জঘন্য ব্যবহার প্রত্যক্ষ করিয়া মোহাম্মদ তকি খ অত্যন্ত মৰ্ম্মাহত হইলেন। কিন্তু তাহার হৃদয় হইতে প্ৰভুভক্তি বিলুপ্ত হইল না। প্ৰভুর ভবিষ্যৎ বিপদ ভাবিয়া তকি খার বীর-হৃদয় অধীর হইয়া উঠিল। অধস্তন সেনানায়কগণের সাহায্যে বঞ্চিত হইয়া ও তিনি নিরুৎসাহ হইলেন না। ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে পলাশীর রণক্ষেত্রে মীর জাফর প্রভৃতি নবাব-সিরাজউদ্দৌলার সেনাপতিগণ যখন তাহার পক্ষে যুদ্ধ করিতে অস্বীকৃত হইয়াছিল, তখন ८महिनांग ७ गैौत्र भगन ननष्ट श्iटअन नश्टि गूल्क প্ৰবৃত্ত হুইয়া স্বদেশ ও স্বজাতি-প্ৰেম এবং প্রভৃভক্তির कि भाद्ध cनथा ८°ाण मा । পরাকাষ্ঠ প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন। ১৭৬৩ খৃষ্টাব্দের জুলাই মাসের উনবিংশ দিবসে বাঙ্গলার অমর বীর মোহাম্মদ তকি খা বাহাদুরও বৃহ রচনা করিয়া কাটােয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে ইংরাজের সহিত সংগ্রামে প্ৰবৃত্ত হইলেন। যুদ্ধ চলিতে লাগিল। আহতের আৰ্ত্তিনাদে, কামানগৰ্জনের গগনভেদী শব্দে, অশ্বের হ্যোরবে, রণভূমি মহাপ্ৰলয়ের মহা প্ৰান্তরের ন্যায় প্ৰতীয়মান হইতে লাগিল । অসংখ্য মৃতদেহে যুদ্ধক্ষেত্র আচ্ছন্ন হইল। প্ৰবল বেগে রক্ত-স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হইল। মহাবীবু মােহাম্মদ তাকি খাঁ বাহাজ্ঞানহারা হইয়া প্ৰবল পরাক্রমে রণক্ষেত্রে শত্রু দলনা করিতে লাগিলেন । তদীয় আফগান এবং মোগল সৈন্যগণ ও অলৌকিক বীরত্ব সহকারে বিপক্ষ বাহিনী মথিত করিয়া ইংরাজগণের অন্তরে বিভীষিকার সঞ্চার করিতে লাগিল। যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা-দৃষ্টি বোধ হইল বিজয়-লক্ষ্মী মোহাম্মদ তকি খারই অঙ্কশায়িনী হইবেনইংরাজের জয়াশা চিরকালের জন্য বিলুপ্ত হইবে-কাটোয়ার রণক্ষেত্রে নবাব মীর কাসেমের বিজয় দুন্দুভি বাজিয়া উঠিবে। কিন্তু মীর কাসেমের দুর্ভাগ্য ! বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার দুর্ভাগ্য ! তাই ঘটনা স্রোত হঠাৎ বিপরীত দিকে প্ৰবাহিত হইল। ভীষণ বেগে যুদ্ধ চলিতেছিল। অকস্মাৎ ইংরাজ-সৈন্তের কামানের গোলা আসিয়া তিকি খ্যার এক পদ বিদ্ধ করিল। তিনি আঙ্গত হইলেন ; তদীয় অশ্বের প্রাণহীন দেহ ভূমিতলে পতিত হইল। আহত পদ বা অশ্বের মৃতদেহ কোন দিকেই তাহার দৃকপাত নাই। প্ৰথম অশ্ব নিহত হইবা মাত্র তিনি দ্বিতীয় অশ্বে আরোহণ করিয়া তেজোময় উৎসাহ বাক্যে সৈন্যগণকে ইংরাজ-দলনে উত্তেজিত করিয়া দ্বিগুণ তেজে বিপক্ষ সৈন্য-শোণিতে তেঁহার তীক্ষুধার কৃপাণ রঞ্জিত করিতে লাগিলেন। ঠিক সেই মুহুর্তে আবার একটীি বন্দুকের গুলি তাহার স্কন্ধ দেশের এক পার্শ্বে প্রবিষ্ট হইয়া অপর পার্শ্ব দিয়া বহির্গত হইয়া গেল। ক্ষত-মুখে অজস্র শোণিত-স্রাব হইতে লাগিল। কিন্তু এই খানেই বিপদের শেষ হইল না । শক্ৰ-পক্ষের নিক্ষিপ্ত অপর একটা গুলিতে তাহার দ্বিতীয় অশ্বটীও প্ৰ্যাণত্যাগ করিল। নিজে আহত, অশ্ব নিহত, কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! এত বড় ভীষণ আঘাতএত বড় বিপদেও মোহাম্মদ তকি খারা বদন মণ্ডলে বেদনার সৈন্যদল নিরুৎসাহ না হয়,